চার পুরভোটের ফলে ধরাশায়ী বিজেপি, রাজ্য নেতৃত্বকে আক্রমণ বিক্ষুব্ধদের

মাঠে নেমে লড়াই দেওয়ার মতো দম গেরুয়া শিবিরের নেই

February 15, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

একুশের বিধানসভা ভোটের ফলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। তারপর কলকাতা পুরভোটের ফলে তৃতীয় স্থানে চলে যাওয়া। এবার চার পুরসভা বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতেও ধরাশায়ী বিজেপি (BJP)। বঙ্গে পদ্মের গ্রাফ ক্রমশ নামছে। এই চার পুরভোটের ফলে ধরাশায়ী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের মধ্যেও শুরু হয়ে গিয়েছে একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগা। নিচুতলায় দলের সংগঠনের হাল যে তলানিতে। মাঠে নেমে লড়াই দেওয়ার মতো দম গেরুয়া শিবিরের নেই। সেটাই যে পুরভোটের ফলে প্রমাণিত হয়ে গেল, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বড় অংশই

রাজ্য সহ-সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বক্তব্য, “সংগঠনের দুর্বলতা আছে, এটা স্বীকার করতে হবে। ছোট ছোট ভোটে (পুরসভা-পঞ্চায়েত) লড়াইয়ের যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি আমরা।” আসানসোল-শিলিগুড়ির মতো জায়গায় এত খারাপ ফল কেন? জবাবে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্তব্য, “এখানে আমরা ভাল ফলের আশা করেছিলাম। কেন সেখানে এতটা খারাপ হল সেটা বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে।” আর দলের বিক্ষুব্ধ নেতা রীতেশ তিওয়ারি থেকে শুরু করে জয়প্রকাশ মজুমদাররা তো দলের এই ফলাফলের জন্য রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর ব্যর্থতাকেই সরাসরি দায়ী করেছেন।

জয়প্রকাশ মজুমদারের তোপ, “অসহায় রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভাচুর্য়াল চক্রবর্তী নাকি টুইটার মালব্য, কে পদত্যাগ করবেন এই ফলাফলের দায় নিয়ে।” রীতেশ তিওয়ারির বক্তব্য, “এই ফলের জন্য দিলীপ ঘোষ-কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ কেন্দ্রীয় নেতারা বা দিল্লি নয়। বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও সেরকম ভূমিকা ছিল না। ভার্চুয়াল চক্রবর্তী ও তার কিছু অনুচর দায়ী এই ফলের জন্য। কারণ পুরভোট পরিচালনা ও সমস্ত কর্মকাণ্ড টিম অমিতাভ চক্রবর্তীই করেছিল।”

বিজেপির ভোট চন্দননগরে ১০, আসানসোলে ১৭, শিলিগুড়িতে ২৩ ও বিধাননগরে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অনুমান, বিজেপি ধীরে ধীরে প্রান্তিক হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। হতাশাজনক এই ফলে দলের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের পালা। রাজ্য বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, বাংলার বিজেপি এখন হয় কোর্টে নয়তো রাজভবনে। এই নিয়েই বিজেপি লড়তে চাইছে। সঙ্গে মানুষ নেই, সংগঠন নেই, কর্মী নেই। শুধু টাকা খরচ করলেই ভোট হয় না।

এদিকে সব্যসাচী দত্তের উদাহরণ টেনে ফের কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের তোপ দেগে টুইট করেছেন তথাগত রায়। লিখেছেন, “সব্যসাচী দত্ত বলেছেন, ‘কে চেয়ারে বসবেন তা খুব বড় নয়। আমি জানি আসল মেয়র’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। এই সব লোকেদের নিয়ে KDSA gang ধেই ধেই করে নেচেছিল। আর ১৯৮০-র দশক থেকে পার্টি করে আসা কার্যকর্তাদের বলা হয়েছিল, ‘আপনারা এতদিন কি…?” ছাপার অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা।

যদিও রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “এই পুরসভাগুলিতে যেভাবে ভোট হয়েছে কোনওভাবেই তা বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। এটা প্রহসনের ভোট।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen