বাইরে বেরোলে পরুন মাস্ক, বানান বাড়িতেই
আগাগোড়া মাস্ক ব্যবহারের বাড়াবাড়ির বিপক্ষে সওয়াল করে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক- সকলেই বলে আসছিল, চিকিৎসাকর্মী ও অসুস্থ ব্যক্তি বাদে আর কারও মাস্ক পরার দরকার নেই। শনিবার আচমকা ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদলাল কেন্দ্র। বরং রাস্তাঘাটে বেরোলেই আপামর জনতাকে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিল তারা।
আগাগোড়া মাস্ক ব্যবহারের বাড়াবাড়ির বিপক্ষে সওয়াল করে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক- সকলেই বলে আসছিল, চিকিৎসাকর্মী ও অসুস্থ ব্যক্তি বাদে আর কারও মাস্ক পরার দরকার নেই। শনিবার আচমকা ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদলাল কেন্দ্র। বরং রাস্তাঘাটে বেরোলেই আপামর জনতাকে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিল তারা।
কেন্দ্রের বক্তব্য, দেশের বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনসাধারণের মাস্ক পরাই করোনা ছড়িয়ে পড়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে। বাজার থেকে মাস্ক কিনে উঠতে না-পারলে বাড়িতেই কাপড় দিয়ে মাস্ক বানিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বস্তুত দেশবাসীর জন্য এই ‘হোম-মেড’ মাস্ক ব্যবহারের উপরই জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

বলা হয়েছে, বাড়ির বাইরে যদি হোম-মেড মাস্ক দিয়েও মুখ ঢেকে বেরোনো যায়, তা হলে ড্রপলেটের (নাক-মুখ থেকে বেরোনো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জলকণা) মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় অনেকটাই রাশ টানা সম্ভব। পৃথিবীর বহু দেশে এর বেশ কিছু ইতিবাচক নজিরও আছে। সার্বিক স্বাস্থ্যবিধির বিচারেও এই অভ্যাসের অনেক সুফল রয়েছে।
কিন্তু মাস্ক তো বাজারে মেলা কঠিন! চিন্তা করবেন না। ডাক্তাররা বলছেন, বাড়িতে মোটা সুতি বা লিনেনের কাপড়কে তিন-চার ভাঁজ করে নিয়ে তা মাস্কের মতো করে ব্যবহার করাই যেতে পারে। সাধারণ কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করলেও তা যেমন অন্যের নাক-মুখ থেকে বেরোনো ড্রপলেট থেকে আপনাকে অনেকটা বাঁচাবে, তেমনই আপনার নাক-মুখ থেকে বেরোনো ড্রপলেটও বেশি ছড়াবে না।
তাই, মাস্ক হোক বা কাপড়, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা জরুরি।