৬৯-রেও ৬৫টি প্রতিমা বানিয়ে শহরতলীতে এখনও তাক লাগাচ্ছেন সনাতন রুদ্র পাল

বাংলার মৃৎশিল্পে তিনিই প্রথম পদ্মশ্রী।

October 10, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার মৃৎশিল্পে তিনিই প্রথম পদ্মশ্রী। হ্যাঁ,তিনি সনাতন রুদ্র পাল। গত মার্চে ৬৯ পা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কি?আঙুলে রয়েছে সেই জাদু এখনও। এবারের দুর্গাপুজোতেও ৬০ জন সহকর্মীকে নিয়ে পরিশ্রম করেছেন। তিনি গড়েছেন ৬৫টি প্রতিমা। সব মণ্ডপের বাইরে প্রতিমা শিল্পীর নামের পাশে লেখা ‘পদ্মশ্রী’।

সনাতনবাবু এখনই হাতের তুলি নামিয়ে রাখতে রাজি নন। তিনি বলছেন, ‘পদ্ম পুরস্কার আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়েছে।’ আগামী দিনেও নিজের কাজের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেই প্রতিমা তৈরি করতে চান তিনি। বাবা বিখ্যাত মৃৎশিল্পী মোহন বাঁশি রুদ্র পাল।
সনাতন রুদ্র পাল বংশের সেই ঘরানাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১০ বছর বয়স থেকেই মাটির সঙ্গে সম্পর্ক শুরু। কাজ শেখা। পড়াশোনা শেষ হতে ধীরে ধীরে নিজেই হাত লাগান প্রতিমা গড়ায়। ১৯৯৮ সালের গোড়াতেই কুমোরটুলির পারিবারিক ব্যবসার জায়গা ছেড়ে স্টুডিও তুলে আনেন খান্না মোড়ের কাছে।

বর্তমানে গুরু দত্ত লেনের বড় স্টুডিওতে বসেই কাজ সামলান পদ্মশ্রী সনাতন রুদ্র পাল। সনাতনবাবু জানালেন, ‘আমার গুরুদেব ও বাবা- জ্যাঠাদের আশীর্বাদেই সম্ভব হয়েছে পদ্ম পুরস্কার প্রাপ্তি। প্রতিবার দুর্গা প্রতিমার চোখ আঁকার সময় আমি শুধু তুলি ধরি। বাকিটা মা করিয়ে নেন। আজ যে হাজার হাজার মানুষ প্রতিমা দেখে আনন্দ পাচ্ছেন, তা সম্পূর্ণ ঈশ্বরের কৃপা। প্রতি বছর ডিসেম্বরের শেষ থেকেই সাজ সাজ রব শুরু হয় স্টুডিওয়। বৈশাখ পড়লেই দুর্গা প্রতিমার কাঠামো গড়ার কাজ। আগামী দিনেও এভাবে কাজ করে যেতে চাই।’

কলকাতার কলেজ স্কোয়ার, একডালিয়া এভারগ্রিন, পার্ক সার্কাস সহ একাধিক বড় পুজোর দুর্গা মূর্তি ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen