দুই বছর পর ঢাকার রাজপথে মঙ্গল শোভাযাত্রা, মুক্তির সুরে নতুন বছরকে আহ্বান

বাংলাদেশের ঐতিহ্যহবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ঢাকার রমনার বটগাছের নিচে বর্ষবরণ গানের অনুষ্ঠানে এবার ৮৫ জন শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

April 14, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল পয়লা বৈশাখ পালিত হয়। ঢাকার বাংলা একাডেমি নির্ধারিত আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। 

পয়লা বৈশাখ উদযাপন এখন বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। প্রতিটি বাঙালি দিনটিকে উদ্যাপন করে উৎসবের আমেজে। নতুন পোশাক পরে সবাই মিলিত হন সাংস্কৃতিক আয়োজনে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যহবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ঢাকার রমনার বটগাছের নিচে বর্ষবরণের যে প্রভাতি অনুষ্ঠান শুরু করে।

অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে নতুন বছরকে আবাহনের যে ধারা সৃষ্টি হয়েছে তাকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সাধারণ চোখে এই দুটি অনুষ্ঠানকে গানের অনুষ্ঠান অথবা নিছক শোভাযাত্রা মনে করলে ভুল হবে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই দুটি আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টানা দুই বছরের বেশি সময় পরে ঢাকার রাজপথে হাঁটলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকার রাজপথে চলা মঙ্গলশোভাযাত্রা থেকে উঠল মানবমুক্তির সুর। সমাজের অনাচার দূর করার লক্ষ্যে এবারের মঙ্গলশোভাযাত্রা হল খুবই জাঁকজমকপূর্ণ।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যহবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ঢাকার রমনার বটগাছের নিচে বর্ষবরণ গানের অনুষ্ঠানে এবার ৮৫ জন শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।  তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রায় এবং ঢাকার রমনার বটগাছের নিচে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। কারোর মুখে মাস্ক ছিলনা বললেই চলে। আবার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কোনও কোনও পুলিসকেও মাস্ক নামিয়ে কাজ করতে দেখা যায়। 

এই বছর পয়লা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান দুপুর ২টোর মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার পর ঢাকার রমনায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানস্থলে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। এছাড়া মাঝপথে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দিতে পারেননি। নিরাপত্তা জনিত কারণে এবার মুখোশ পরে কাউকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen