দুর্ঘটনা কবলিত বিমানকে ঢুকতে দিল না পাকিস্তান, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন ২২৭ যাত্রী

পরশুদিন ইন্ডিগোর যে শ্রীনগরগামী বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, জানা যাচ্ছে সেই অবস্থায় পাকিস্তান তাদের এয়ারবেসে ঢোকার অনুমতি দেয়নি বিমানটিকে।

May 23, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৩২: পাকিস্তানের অমানবিকতা স্পষ্ট হচ্ছে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে। গত পরশুদিন ইন্ডিগোর যে শ্রীনগরগামী বিমানটি (6E2142) দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, জানা যাচ্ছে সেই অবস্থায় পাকিস্তান তাদের এয়ারবেসে ঢোকার অনুমতি দেয়নি বিমানটিকে।

গত ২১ মে বুধবার শ্রীনগরের কাছে প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে দিল থেকে আসা উড়ানটি। শ্রীনগরের কাছে পৌঁছনোর পরই হঠাৎ শুরু হয় প্রবল শিলাবৃষ্টি।ভারী শিলার আঘাতে উড়ানটির সামনের অংশ ভেঙে যায়, একপাশে গর্ত হয়ে যায়। যার জেরে প্রবল ঝাঁকুনি শুরু হয় বিমানের মধ্যে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। বিমানের গায়ে একের পর এক শিলা আছড়ে পড়ায় আরও বেশি করে কাঁপতে থাকে গোটা বিমানটি। আতংকিত হয়ে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করেন, এমন বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।

এই অবস্থায় পাইলট পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নিকটবর্তী লাহোর বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাক এয়ারবেসে সাময়িক ঢোকার অনুমতি চান। কিন্তু লাহোর এটিসি তাঁকে সেই অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়েই ওই ঝড়-ঝঞ্চার মধ্যেই ২২৭ জন যাত্রীদের নিয়ে ওই অবস্থাতেও বিমানের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে শ্রীনগরে পৌঁছয় বিমানটি। পাইলটের দক্ষতায় শ্রীনগরে সুরক্ষিতভাবে অবতরণ করানো হয় বিমান, যাত্রীরা কার্যত সেদিন মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরেন। উড়ান সংস্থা ইন্ডিগো এই পুরো ঘটনা জানায়, লাহোরে সাময়িকভাবে নামতে না পেরেই সমস্যা অনেক বেড়ে গেছিলো।

ইন্ডিগোর এই বিমানেই ছিলেন তৃণমূলের ৫ প্রতিনিধি (ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, নাদিমুল হক, মানস ভুঁইয়া ও মমতা বালা ঠাকুর) যারা জম্মু-কাশ্মীর সফরে গেছেন।

প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত আবহেই দুই দেশ একে অপরের জন্য এয়ারস্পেস বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সংঘর্ষবিরতি রয়েছে, তা সত্ত্বেও পাকিস্তান তাদের এয়ারস্পেস ব্যবহার করতে দিল না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen