পানাগড় কাণ্ড: ইভটিজিং নয়! ঠিক কী হয়েছিল সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির?

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সুতন্দ্রার মৃত্যু হয়েছিল।

March 6, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের দাবি, পানাগড়ে সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। দাবি করা হচ্ছে, গল্প বানিয়ে চালানো হয়েছে। বুধবার, কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, ঘটনার দিন রাতে সুতন্দ্রাদের গাড়িকে ওভারটেক করেছিল একটি ক্রেটা গাড়ি। গাড়িটিকে তাড়া করতে থাকে সুতন্দ্রাদের গাড়ি। সামান্য ঠোকাঠুকি হয়েছিল দুটি গাড়ির মধ্যে। দুটি গাড়িই গতিতে ছুটতে থাকে। তারপর ক্রেটা গাড়িটি ছোট রাস্তায় ঢুকে যায়। সুতন্দ্রাদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নির্মীয়মাণ শৌচালায়ে ধাক্কা মারে। ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করছে রাজ্য সরকার।

প্রথম দিন থেকে এমনটাই বলে আসছে পুলিশ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সুতন্দ্রার মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশ এই দাবিই করেছিল। ক্রেটা গাড়িতে থাকা বাবলু যাদব ও সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজদেও শর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইভটিজিংয়ের অভিযোগ করেছিল রাজদেও। পরবর্তীতে বয়ান বদল করে দেয়। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেন সুতন্দ্রার মা।

গাড়ির চালক ও গাড়ির অন্য আরোহীদের ভূমিকা নিয়ে আজও প্রশ্ন তুলেছেন নৃত্যশিল্পীর ঠাকুমা। তিনি বলেন, “গাড়ির চালক যখন বয়ান দিচ্ছিল, তখন ওর মুখে-চোখে কিছু প্রকাশ পাচ্ছিল না। একজন যে মারা গেল, একটা বাচ্চা মেয়ে শেষ হয়ে গেল, সেটা চোখে-মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল না। গাড়িতে কারও কিচ্ছু হল না। ডানদিকে ড্রাইভার বসেছিল, পিছনে তিনজন বসেছিল, তারা বলল যে ঢুকে গেলাম। আমার নাতনিই মারা গেল একেবারে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার নাতনি আহত হত, সবাই আহত হত, তাহলে বুঝতাম। গাড়ি দুর্ঘটনা হলে সবাই আহত হয়। কিন্তু ওদের কিছু হল না। আমার নাতনিই একেবারে মারা গেল। তার মাথায় নাকি কাচ ঢুকে গেল, এই হয়ে গেল, ওই হয়ে গেল, বাঁ-দিকে নাকি এত জোরে লেগেছে যে ওর মাথায় নাকি কাচ ঢুকে গিয়েছে, মাথা থেঁতলে গিয়েছে।” সুতন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন তাঁর মা। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়েরের অনুমতি দেন

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen