Parliament Monsoon Session 2025 – কেমন ছিল তৃণমূল সাংসদদের পারফরম্যান্স?

সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে শেষদিন অবধি SIR ও বাংলা এবং বাঙালি হেনস্থা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল।

August 21, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:০৫: প্রায় এক মাসব্যাপী বাদল অধিবেশন শেষ হল আজ। এবারের বাদল অধিবেশনে কার্যত সরকার পক্ষকে চেপে ধরেছিল বিরোধী শিবির। নেতৃত্বে ছিল তৃণমূল।

সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে শেষদিন অবধি SIR ও বাংলা এবং বাঙালি হেনস্থা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল। ইন্ডিয়া শিবিরের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছেন বাংলার দুই কক্ষের সাংসদেরা।
শেষদিনও সংসদ চত্বরে বাংলা ও বাঙালির হেনস্তা ইস্যুতে সংসদে প্রতিবাদ দেখান তৃণমূলের সাংসদেরা। জীবনানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের কবিতা ও গান গেয়ে গোটা সংসদ চত্বর ভ্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদরা।

বাংলার অপমান নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে নজির গড়েছে তৃণমূল। বাংলায় বক্তব্য রেখেছেন বাংলার শাসক দলের সাংসদেরা।

অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন জোড়াফুলের সাংসদেরা। সরকারকে জরুরি প্রশ্ন করেছেন।

বিপুল সংখ্যক লিখিত প্রশ্নে কার্যত নয়া ভাষ্য তৈরি করেছেন তৃণমূল সাংসদেরা। উঠে এসেছে বাংলার প্রতি কেন্দ্র বঞ্চনার আদত তথ্য পরিসংখ্যান। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান থেকে একশো দিনের কাজ, প্রতি ক্ষেত্রে বঞ্চনার কথা উঠে এসেছে।

মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন।

মুখ্যনির্বাচন কমিশনারের ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে এক জোট হয়েছে বিরোধীরা।

স্পোর্টস বিল নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধীরা। তৃণমূলের তরফে ছিলেন চিকিৎসক-সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।

জল জীবন মিশনে বাংলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে জল শক্তি মন্ত্রকে দেখা করেন তৃণমূলের পনেরোজন সাংসদ। সরব হন বাংলার দাবি আদায়ে।

ভোট চুরি ও ভুয়ো এপিক নিয়ে সর্বপ্রথম ২৭ ফেব্রুয়ারি মমতা বন্দোপাধ্যায় সোচ্চার হয়েছিলেন। SIR নিয়েও প্রতিবাদের কথা তিনিই বলেন প্রথম। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সরব হন। নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের ডাক দেন। তাঁর কথা মেনেই ইন্ডিয়া জোট নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের দিন, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল ও মমতা ঠাকুর কমিশন অফিসে পৌঁছে যান। কমিশনের দপ্তরে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

মমতা বন্দোপাধ্যায়ই প্রথম বলেছিলেন বাংলা ও বাঙালির হেনস্থা ইস্যু নিয়ে সংসদের বাইরে প্রতিবাদ করতে। দলনেত্রীর নির্দেশ মতো সাংসদেরা গোটা অধিবেশনজুড়ে প্রতিবাদ করেছেন।

বুধবার সংবিধান সংশোধনী বিল পেশের সময় তৃণমূলের মহিলা সাংসদ মিতালি বাগ ও শতাব্দী রায়কে হেনস্থার বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে লোকসভার স্পিকারকে দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নির্ধারণে তৃণমূলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আপ-র সমর্থনে আদায়েও গুরুত্বপূর্ণ নেয় তৃণমূল।

আজ রাজ্যসভায় অমিত শাহকে ‘তাড়িপার গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। মোদী-শাহ কার্যত সংসদ চালাতে ভয় পাচ্ছেন।

শেষবার ২০১৬ সালে মোদী সরকার ২৬৭টি নোটিশ গ্রহণ করেছিল। এই অধিবেশনে ১৭৬ নোটিশও গ্রহণ করেনি। এবারের অধিবেশনে তৃণমূল সবসময় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ করেছে। দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল মনে করে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। সব মিলিয়ে সংসদে বিজেপি সরকারের বিরোধিতার অভিমুখ ঠিক করে দিয়েছে
তৃণমূল। ইন্ডিয়া জোটকে কার্যত নেতৃত্ব দিয়েছে তৃণমূল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen