Parliament Monsoon session 2025: এই অধিবেশন ভারতবাসীর বিজয়োৎসবের, শুরুতেই বললেন মোদী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৩২: আজ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন (Monsoon session 2025)। চলবে আগামী ২১ আগষ্ট পর্যন্ত। তার আগে (সোমবার) সংসদ চত্বরে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই অধিবেশনের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। অপারেশন সিঁদুর, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার মহাকাশ অভিযান সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে।
শুরুতেই তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভারতের পতাকা উড়েছে যা দেশের জন্য গর্বের বিষয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এটি একটি উদ্ভাবনী সফল যাত্রা ছিল। লোকসভা, রাজ্যসভাও এই আনন্দ, গৌরবের অংশ হবে। এই বাদল অধিবেশন দেশবাসীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বাদল অধিবেশ হল আমাদের বিজয়োৎসবের। ভারত এই অভিযানে তার ১০০ শতাংশ লক্ষ্য অর্জন করেছে। প্রতিরক্ষা ক্ষমতা এবং স্বনির্ভরতা উভয় ক্ষেত্রেই ক্রমবর্ধমান শক্তি হিসাবে দেশের খ্যাতি আরও শক্তিশালী করেছে অপারেশন সিঁদুর।”
পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পহেলগাঁও হামলা সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুর করে আমরা ২২ মিনিটের মধ্যে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। সারা বিশ্ব ভারতীয় সেনার শক্তি দেখেছে। ভারতের প্রতিনিধিরা পাকিস্তানের মুখোশ বিদেশে খুলে দিয়েছে।”
ভারত এখন উন্নতির শীর্ষে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর সংযোজন, “কৃষিকাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ এখন। বিগত ১০ বছরের তুলনায় এবার তিন গুণ বেশি জল জমা করা সম্ভব হয়েছে, যা দেশের জন্য বিশেষ উপকারী হবে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বারবার আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্বকে আজ নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত। ভারতের শক্তির প্রতীক ডিজিটাল ইন্ডিয়া। ডিজিটাল ইন্ডিয়া, ইউপিআইয়ের মাধ্যমে বিশ্ব ভারতকে চিনছে। ইউপিআই ফিনটেকের দুনিয়ায় নিজের নাম অর্জন করেছে। আমরা গর্বিত যে বোমা বন্দুকের সামনে আমাদের দেশের সংবিধান জয়ী হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত যা রেড করিডর ছিল, তা গ্রিন গ্রোথ করিডরে পরিণত হয়েছে। সব সাংসদের কাছে এটা গর্বের মুহূর্ত। তাদের গৌরব গান দেশবাসী শুনবে।শান্তি ও প্রগতি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগোচ্ছে। আজ নকশালবাদ, মাওবাদ শেষ হচ্ছে। নকশালবাদকে মূল থেকে উপড়ে ফেলার শপথ নিয়ে দেশ দ্রুতগতিতে সাফল্যের দিকে এগোচ্ছে। ১০০-রও বেশি গ্রামকে নকশাল মুক্ত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সালে যখন আপনারা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তখন আমরা বিশ্বের দশম অর্থনীতি ছিল, আজ ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। একটা সময় ছিল, ২০১৪ সালের আগে যখন মুদ্রাস্ফীতি ডবল ডিজিট ছিল। আজ তা ২-এ নেমে এসেছে। মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে। এটা ভাল বিকাশযাত্রার লক্ষণ।”