Parliament Monsoon Session: কোন কোন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংসদে ঝড় তোলার প্রস্তুতি তৃণমূলের?
২১ জুলাই কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের কর্মসূচি, সেই দিনই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। ১২ থেকে ১৮ অগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহের বিরতি থাকবে সংসদের কাজকর্মে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০০: ২১ জুলাই কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের কর্মসূচি, সেই দিনই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। চলবে ২১ অগস্ট পর্যন্ত। মোট ২১টি কর্মদিবসে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ১২ থেকে ১৮ অগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহের বিরতি থাকবে সংসদের কাজকর্মে।
তবে প্রথম দিন সাধারণত অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার রেওয়াজ না থাকায়, তৃণমূল সাংসদরা বিকেলের মধ্যেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন, যাতে মঙ্গলবার থেকে সংসদে অংশ নিতে পারেন।
তার আগে, ধর্মতলার সভা থেকেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল সাংসদদের বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ের দিশা দেখিয়ে দেবেন।
ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে অন্যান্য বারের মতো এ বারও আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য স্লোগান ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদরা মানুষের প্রশ্ন ও উদ্বেগ তুলে ধরবেন সংসদের দরবারে।
অন্যদিকে, এই অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও নতুন বিল পেশ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। একই সঙ্গে, বিরোধী পক্ষ একাধিক ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরতে প্রস্তুত। পহলগাম জঙ্গি হামলা, অপারেশন সিঁদুর, ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা এবং বিহার ভোটের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতে চাইছে বিরোধীরা।
প্রায় এক মাস চলা এই বাদল অধিবেশনে কেন্দ্র সরকার আটটি নতুন বিল পেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ট্রেজারি বেঞ্চের অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, অধিবেশনের মূল উত্তাপ সৃষ্টি করবে বিহারের ভোটার তালিকা বিতর্ক, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার মতো ইস্যুগুলি। এইসব বিষয়ে সংসদের ভিতরে-বাইরে জোরদার বিতর্ক ও বিক্ষোভের সম্ভাবনা প্রবল।
একমাসব্যাপী বাদল অধিবেশনে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ শানাতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোট। সূত্রের খবর, আগামী ১৯ জুলাই সংসদ ভবনে বৈঠকে বসবেন জোটের সদস্যদলগুলির নেতারা। অধিবেশন কৌশল, ইস্যু ভিত্তিক সমন্বয় এবং সংসদের ভিতরে-বাইরে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না বলেই জল্পনা।
এবারের বাদল অধিবেশনে একাধিক বিতর্কিত বিষয় উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, বিচারপতি যশবন্ত বর্মার ইমপিচমেন্ট বা অপসারণ সংক্রান্ত ইস্যু সংসদে তোলা হতে পারে। পাশাপাশি এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখরকুমার যাদবের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের অভিযোগে বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই একটি ইমপিচমেন্ট নোটিস পেশ করেছে।
এছাড়াও মণিপুরে জারি থাকা রাষ্ট্রপতির শাসনের মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানোর প্রস্তাব আনতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে অধিবেশনের পরবর্তী পর্যায়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।