Parliament Monsoon Session: অপারেশন সিঁদুর, আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা, বিচারপতির ইমপিচমেন্ট আর কী কী বিষয় উঠে এল প্রথম দিনের অধিবেশনে?
শুরু হল সংসদের বাদল অধিবেশন। প্রত্যাশা মতোই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল সংসদের অধিবেশন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,১০:৩৭: শুরু হল সংসদের বাদল অধিবেশন। প্রত্যাশা মতোই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল সংসদের অধিবেশন। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে বিরোধী সাংসদদেরা চাপ বাড়াতেই লোকসভার প্রথম দিনের অধিবেশন ২০ মিনিট পরই মুলতুবি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের দাবি মেনে অপারেশন সিঁদুর এবং সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে সরকার। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, বিতর্কের জন্য অতি অল্প সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। লোকসভায় পহেলগাঁও এবং অপারেশন সিঁদুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৬ ঘণ্টা। রাজ্যসভায় আলোচনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯ ঘণ্টা।
নগদকাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে অপসারণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে যা প্রথম বার হতে চলেছে। সোমবার শাসক ও বিরোধী দলের মোট ২০০ জন সাংসদ অভিযুক্ত বিচারপতির ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার আবেদনে সম্মতি দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, লোকসভার ১৪৫ জন সাংসদ স্পিকার ওম বিড়লার কাছে বিচারপতির অপসারণ সংক্রান্ত স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। রাজ্যসভার ৬৩ জন সাংসদও এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন। বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি, তেলুগু দেশম পার্টি, জেডি (ইউ) এবং জেডি (এস)-সহ এনডিএ জোটের সাংসদেরাও। এবার সংবিধানের ১২৪, ২১৭ এবং ২১৮ অনুচ্ছেদের অধীনে অভিযুক্ত বিচারপতির ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা।
নগদকাণ্ডে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বর্মার ইমপিচমেন্টের বিষয়ে সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারপতি বর্মাকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১২৪(৪) এবং ২১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতিকে অপসারণের জন্য সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা যেতে পারে। এর জন্য সংসদের উচ্চ কক্ষ তথা রাজ্যসভায় কমপক্ষে ৫০ জন সদস্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন। আর লোকসভায় ১০০ জনের স্বাক্ষর প্রয়োজন। নিয়ম অনুযায়ী, উভয়কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রস্তাব পাশ হলে লোকসভার স্পিকার বা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের অনুরোধ করবেন। কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রপতি।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে সোমবার রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেন সিপিএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস। তিনি জানতে চান, বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে এখনও পর্যন্ত কী কী ধরা পড়েছে, বিমানের সুরক্ষার বিষয়ে গত ছ’মাসে যাত্রীদের তরফে বা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (DGCA)-র তরফে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল কি না, বিমানের সুরক্ষা নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়াকে গত ছ’মাসে কোনও নোটিশ পাঠানো হয়েছিল কি না?
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মোহল জানিয়েছেন, সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ছ’মাসে ন’বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াকে। মোট পাঁচবার উড়ান সংস্থায় সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে। আইনানুগ পদক্ষেপও করা হয়েছে। তদন্তে বিমান দুর্ঘটনার কোনও নির্দিষ্ট কারণ এখনও উঠে আসেনি বলে জানান মোহল। দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছে AIB। বিমান পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী জানান, তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AIB) গত ১২ জুলাই একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তদন্তকারী সংস্থার ওয়েবসাইটেও তা রয়েছে।