কল্যাণী এইমসে চড়া বিলের যন্ত্রণায় নাজেহাল রোগীরা

কল্যাণী এইমসে আউটডোর বা বহির্বিভাগে মাত্র ১০ টাকায় নাম রেজিস্ট্রেশন করে ডাক্তার দেখানো যায়

March 22, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে সমস্যায় জর্জরিত কল্যাণী এইমস। ঢাক পিটিয়ে এখানে ক্যাথল্যাব ও হার্ট-লাং মেশিনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পদক্ষেপ বাংলার গরিবদের জন্য বিরাট উপহার বলে প্রচারে তিনি কোনও খামতি রাখেননি। সাধারণ মানুষ ভেবেছিল, এবার তাহলে সামান্য খরচে মিলবে উন্নত চিকিৎসা। কিন্তু কোথায় কী! কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা এই উৎকর্ষকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে গিয়ে খরচ হচ্ছে মোটা টাকা। শুধুমাত্র চিকিৎসকের ফি বাবদ কোনও খরচ হচ্ছে না। তবে রোগ নির্ণয়ের জন্য কোনও পরীক্ষা হোক বা ওষুধপত্র—মেটাতে হচ্ছে চড়া বিল।

যেমন, হৃদরোগে স্রেফ অ্যাঞ্জিওগ্রামের খরচ প্রায় ১০ হাজার টাকা। ফলে সামান্য খরচে সেরা গুণমানের চিকিৎসার আশায় ছুটে এসে হতাশ হতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের পরিবারকে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি এমন যে প্রতি মাসে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে আসা প্রায় ৬০০ রোগীকে ‘রেফার’ করে দেওয়া হচ্ছে চার কিমি দূরে রাজ্য সরকারি গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে। বহু রোগী আবার এইমসে খরচের বহর দেখে স্বেচ্ছায় যেতে চাইছেন অন্যত্র।

কল্যাণী এইমসে আউটডোর বা বহির্বিভাগে মাত্র ১০ টাকায় নাম রেজিস্ট্রেশন করে ডাক্তার দেখানো যায়। কিন্তু ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতেই ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। বর্তমানে এইমসের নিজস্ব অ্যাপ থেকে রেজিস্ট্রেশন এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা যায়। এছাড়া নির্দিষ্ট দু’টি মোবাইল নম্বরে সকাল ন’টা থেকে এগারোটার মধ্যে ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইতে হয়। রোগীদের একাংশের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, উভয় ক্ষেত্রেই সহজে ‘বুকিং’ পাওয়া যায় না। তার উপর রয়েছে আগে আসার ভিত্তিতে টোকেনের ব্যাপার। ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, সাত-দশ দিন চেষ্টা করে তবেই নাম লেখানো সম্ভব।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen