টোটো ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বোলপুরে, সমাজ মাধ্যমে মিমের ঢেউ

টোটো ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ বোলপুরে। শান্তিনিকেতন আশ্রম থেকে সোনাঝুরি হাটের দূরত্ব মেরেকেটে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার। সরকারি হিসেবে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়ার কথা ২০-৩০টাকা। অর্থাৎ পাঁচজনের ভাড়া ১০০-১৫০টাকা। কিন্তু পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই অস্বাভাবিক ভাড়ার রেট চার্ট প্রকাশ করেছে বোলপুরের টোটোচালকদের একাংশ। যেখানে দেখা যাচ্ছে ভাড়া লেখা হয়েছে ৪০০-৪৫০টাকা। অর্থাৎ প্রায় চারগুণ বেশি।

March 20, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
টোটো ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ বোলপুরে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: টোটো ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ বোলপুরে। শান্তিনিকেতন আশ্রম থেকে সোনাঝুরি হাটের দূরত্ব মেরেকেটে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার। সরকারি হিসেবে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়ার কথা ২০-৩০টাকা। অর্থাৎ পাঁচজনের ভাড়া ১০০-১৫০টাকা। কিন্তু পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই অস্বাভাবিক ভাড়ার রেট চার্ট প্রকাশ করেছে বোলপুরের টোটোচালকদের একাংশ। যেখানে দেখা যাচ্ছে ভাড়া লেখা হয়েছে ৪০০-৪৫০টাকা। অর্থাৎ প্রায় চারগুণ বেশি।

শান্তিনিকেতন থেকে কঙ্কালীতলার দূরত্ব কমবেশি আট কিলোমিটার। ‌সে ক্ষেত্রেও একই ভাড়া। শান্তিনিকেতনের আশপাশের জায়গা ঘোরার ক্ষেত্রেও ৭০০-৮০০টাকা গুনতে হবে। যা প্রতি ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। শান্তিনিকেতনের টোটো চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া চাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এই অস্বাভাবিক ভাড়ার তালিকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে ‘প্রকাশ্যে ডাকাতি’ বলে উল্লেখ করেছেন। টোটোর সেই রেট চার্টের তালিকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে এক ব্যক্তি ব্যঙ্গ করে লিখেছেন ‘এত ভাড়া! ভাবছি শান্তিনিকেতনে গিয়ে এবার টোটো চালাব।’

এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে অধিকাংশই টোটো চালকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। শৈলেশ পাল নামে এক ব্যক্তি লেখেন, ‘আমরা বোলপুরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছি। বোলপুরই একমাত্র শহর যেখানে টোটো ভাড়ার কোনও নির্দিষ্ট রেট নেই। যার কাছে যেরকম পারে লুটে নেয়। সবাই খারাপ বলব না। তবে বেশিরভাগই এরকম।’ এক ব্যক্তি ঠাট্টা করে লিখেছেন, ‘কারও বোলপুর বাড়ি থাকলে ভাড়া দেবেন? আমি ওখানে গিয়ে টোটো চালাব। কাজের যা অবস্থা, ওখানে গিয়ে টোটো চালালে খেয়েপরে বাঁচব।’

শান্তিনিকেতনে ঘুরতে এসে পর্যটকদের অনেকেই টোটো চালকদের এই কার্যকলাপে অত্যন্ত বিরক্ত। তাদের দাবি, অভিযোগ জানানোর কোনও জায়গা নেই। চালকদের একাংশ জুলুমবাজি চালাচ্ছে। বোলপুর পুরসভার কোনও নির্দিষ্ট রেটচার্ট নেই। পুরসভার এই অনীহার কারণে যে যেখানে যেমন ইচ্ছে ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen