অভিযানের খরচ জোগাড় নিয়ে সংশয়, এভারেস্ট বেশ ক্যাম্প থেকেই ক্রাউড ফান্ডিংয়ের আহ্বান পিয়ালীর

মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে দুর্গম পথে পাড়ি দিতে হয়।

May 5, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে দুর্গম পথে পাড়ি দিতে হয়। প্রতি পদক্ষেপে বিপদ ওৎ পেতে থাকে। কিন্তু তার চেয়েও দুর্গম বোধ হয় এই অভিযানের প্রয়োজনীয় খরচ জোগাড় করা! এই কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি রজ্যের অন্যতম মহিলা পর্বতারোহী চন্দননগরের পিয়ালি বসাক। কয়েকমাস আগে অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়াই আটহাজারি উচ্চতার ধৌলাগিরি জয় করে বিরল কৃতিত্বের শিরোপা পেয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে সারা দেশে তিনিই প্রথম মহিলা। তাঁর পরের ‘টার্গেট’ অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়া বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয়। তার জন্য তিনি চন্দননগর থেকে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন মাসখানেক আগে। এরপরই অভিযানের খরচ জোগাড় করা নিয়ে সংশয়ের মেঘ ঘনিয়েছে। টাকা না জোগাড় হলে অভিযান বাতিল করে ফিরে আসতে হতে পারে তাঁকে। এমন পরিস্থিতিতে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’-এর আহ্বান জানিয়েছেন পিয়ালি। তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় তথ্য। সাধারণ মানুষকে সেখানে অর্থ সাহায্য করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। 


পিয়ালি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, এখনও পর্যন্ত জোগাড় হয়েছে মাত্র ১৮ লক্ষ। বাকি ১৭ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা দ্রুত না করা গেলে মূল অভিযান শুরু করা যাবে না। অনুমতি দেবে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তাঁর মঙ্গলবারের পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বেসক্যাম্প থেকে উপরের ক্যাম্পে মালপত্র বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মোট চারটি ক্যাম্পে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে ফের ফিরতে হবে বেসক্যাম্পে। বেসক্যাম্প থেকে তাঁর এভারেস্ট ও লোৎসে অভিযান একসঙ্গে শুরু করার কথা আগামী ৯-১০ মে নাগাদ। তার আগেই মেটাতে হবে সব টাকা। এই সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে উঠে আসা আদৌ সম্ভব কি না, সেই সংশয় রয়েছে সংশ্লিষ্ট সবারই। পিয়ালির অন্যান্য অভিযানের সহযাত্রী থেকে শুরু করে একাধিক পর্বতারোহী, তাঁর বন্ধুবান্ধব সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্য আহ্বান করেছেন। 


চন্দননগর পুরসভার যে ওয়ার্ডে পিয়ালির বাড়ি, সেখানকার কাউন্সিলার মোহিত নন্দী সহ অনেকেই সেদিন স্টেশনে এসেছিলেন তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে। মোহিতবাবু বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে এখনও টাকা জোগাড়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাজ্য সরকারের কিছু সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এখনও পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। তবু সবরকমভাবে চেষ্টা চলছে। অর্থের অভাবে ওঁকে ফিরে আসতে হলে তা দুর্ভাগ্যজনক। এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহী বসন্ত সিংহ রায় বলেন, এটাই কঠিন বাস্তব। পর্বতারোহণের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে স্পনসর পাওয়া বেশ কষ্টকর। কারণ সরাসরি ব্যবসায়িক লাভ জড়িত নেই এর সঙ্গে। আশা করছি, কোনও সহৃদয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ওঁর পাশে দাঁড়াবে। ওঁর মতো কৃতিত্বের অধিকারী একজন স্পনসর পাচ্ছে না, পর্যাপ্ত টাকা জোগাড় করতে পারছে না, এটা দুঃখজনক।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen