মন ভালো রাখতে ফুটবল খেলার দাওয়াই রায়গঞ্জ পুরসভার

ফুটবল একটি অত্যন্ত ভালো আউটডোর খেলা। তার মাধ্যমে দৈহিক এবং মানসিক শক্তি বিকশিত হয়।

July 9, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা আবাসিকদের মনোরঞ্জনের জন্য ফুটবল খেলার আয়োজন করল রায়গঞ্জ পুরসভা। তাঁদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দাদের জন্য যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারটি বানানো হয়েছে, সেটি রয়েছে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামেই। তাই স্টেডিয়ামের ঘাসেই এখন ফুটবল নিয়ে দিব্যি গা ঘামাতে পারবেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের আবাসিকরা।

এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা সাধারণ মানুষের সেবায় সবসময় নিয়োজিত রয়েছি। আমাদের কর্মীরা সবসময় তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। খেলাধুলার মাধ্যমে যেন তাঁদের মনমেজাজ ভালো থাকে, সবসময় দুশ্চিন্তার হাত থেকে মুক্তি পান, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ফুটবল খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য এবং বড় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হল রায়গঞ্জ স্টেডিয়াম। বর্তমানে স্টেডিয়ামে ২৯ জন আবাসিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ এবং ৯ জন মহিলা। দীর্ঘদিন পরিবার-পরিজন থেকে দূরে, ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার কারণে অনেকেরই মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কোনওভাবেই যাতে তাঁদের মধ্যে কোনও মানসিক সমস্যা দেখা না দেয়, সেজন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার ব্যবস্থা করা হয়েছে ফুটবল খেলার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুটবল একটি অত্যন্ত ভালো আউটডোর খেলা। তার মাধ্যমে দৈহিক এবং মানসিক শক্তি বিকশিত হয়। তাই ফুটবলকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, ফুটবল খেলার মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বাসিন্দারা একে অপরের অনেকটাই কাছাকাছি চলে আসছেন। সে কারণে যাতে কোনওভাবেই কেউ সংক্রমিত না হন, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের। যদিও পুরসভার দাবি, প্রত্যেকদিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারকে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়, যাতে কোনওভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।

বর্তমানে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা এক আবাসিক বিক্রম শিকদার বলেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভালো। বর্তমানে আমাদের যে কোনও ধরনের প্রয়োজন মিটিয়ে দিচ্ছে রায়গঞ্জ পুরসভা। ইতিমধ্যে আমাদের এখানে ফুটবল খেলার বন্দোবস্ত করেছে তারা। ফুটবল খেলার মাধ্যমে আমরা শারীরিকভাবে অনেক বেশি সক্ষম থাকছি। পাশাপাশি খেলার দিকে মন চলে যাওয়ায় মানসিক দুশ্চিন্তা থেকেও অনেকটাই দূরে থাকছি। আমাদের খাবার দাবার থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার প্রতিও খেয়াল রাখছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

করোনা রোগীর সংস্পর্শে থাকা বা পরিবারের অংশ হওয়ার কারণে রায়গঞ্জ শহরের স্টেডিয়ামে বানানো সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন আবাসিকরা। দীর্ঘদিন সেখানে নানা বিধিনিষেধ মেনে থাকার কারণে অনেক সময় অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সেই সমস্যা থেকে যাতে আবাসিকরা নিজেদের দূরে রাখতে পারেন, সেজন্য শরীরচর্চা ও খেলাধুলোর দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভালো হওয়ার পাশাপাশি মনমেজাজ ভালো হবে, মত বিশেষজ্ঞদের। স্টেডিয়ামের বিস্তীর্ণ মাঠে সকাল ও বিকেলের দিকে দুই দলে ভাগ হয়ে ফুটবল নিয়ে মেতে উঠছেন সেন্টারের আবাসিকরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen