করোনা আতঙ্কে চন্দননগরের মানুষ আদৌ ভোট দেবেন তো? চিন্তায় সব রাজনৈতিক দল

আগের ভোটগুলোর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, একসময়ের ফরাসি উপনিবেশ থাকা এই শহরে মোটের উপর পুরভোটে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ভোট পড়ে। ভোটকে কেন্দ্র করে খুব একটা অপ্রীতিকর ঘটনাও যে এখানে ঘটে, তেমন নয়।

January 11, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

মেলাতে যদি ‘মেলা লোক’ না আসে তো তার আনন্দটাই মাটি। বহুচর্চিত কথাটা যেন চন্দননগরের ভোট ‘মেলা’য় বেশ খাপ খেয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কনটেনমেন্ট জোন। তারই মধ্যে ছুটছেন প্রার্থীরা। কিন্তু বুথে মানুষ ক’টা আসবেন? নিজের দলের কট্টর সমর্থকদের বেশিরভাগই কি ঘরবন্দি থাকবেন? তা নিয়েই বাড়ছে চিন্তা।

চন্দননগরে এবারের পুরভোটে (West Bengal Civic Polls) কত শতাংশ ভোট পড়বে তা নিয়েই এখন চিন্তা শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরে। আগের ভোটগুলোর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, একসময়ের ফরাসি উপনিবেশ থাকা এই শহরে মোটের উপর পুরভোটে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ভোট পড়ে। ভোটকে কেন্দ্র করে খুব একটা অপ্রীতিকর ঘটনাও যে এখানে ঘটে, তেমন নয়। মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দেন। একপেশে ফলাফলও কখনওই দেখেনি গঙ্গাপাড়ের এই শহর।

কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। সংক্রমণ বাড়ছে এই শহরেও। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি প্রচার সারলেও একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি জড়ো হচ্ছেন না। চলছে নির্বাচন কমিশনের নজরদারিও। মানুষের মধ্যেও করোনা নিয়ে আতঙ্ক বেশ বেড়েছে। অনেকেই বলছেন, ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে শেষে যদি করোনা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়! আর সাধারণ মানুষের এই চিন্তাই এখন বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রার্থীদের। পাড়ার মোড়ে মোড়ে যে আলোচনা পুরভোটের আগে দেখা যেত তাও এখন উধাও। ডান, বাম সব দলের প্রার্থীই চার-পাঁচ জন করে বেরিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার সারছেন।

দেওয়াল লিখন, ব্যানার, ফেস্টুন, হোর্ডিং, বাড়ি বাড়ি প্রচার। ভোট ঘোষণার পর বেশ জমজমাটই ছিল এই শহর। কিন্তু গত কয়েকদিনের করোনা গ্রাফ বদলে দিয়েছে চিত্রটা। ১, ৯, ১০, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ২১ এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। ফলে এই সব এলাকায় ভোট কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তায় সব শিবিরই।

তবে প্রত্যেকেরই ধারণা, ভোটের আগে এই কনটেনমেন্ট জোন উঠে যাবে। কিন্তু তাতেও কি সাধারণ মানুষ অন্যবারের মতো ভোট দিতে লাইন করবেন! ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী পুরবোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “মানুষ ভোট দিতে বেরোবেন। তৃণমূলের পক্ষেই রায় দেবেন। আমরা বাড়ি বাড়ি যখন প্রচারে যাচ্ছি তখন বলছি, তাঁরা যেন মাস্ক পরে বাড়ির বাইরে যান।” বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক চন্দননগর পুরনিগম এলাকার ইনচার্জ নবারুণ নায়েক বলেন, “তো এবার অনেক কম পড়বে বলেই মনে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ কিছুটা ভয়ে আছেন। তাই বাইরে কম বেরোবেন। দেখা যাক কী হয়।” একই দাবি সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক পিনাকী চক্রবর্তীর গলাতেও। তিনিও বলেন, “অন্যবার এখানে ৮০-৮৫ শতাংশ ভোট পড়ে। এবার অনেক কমে যাবে বলে মনে হচ্ছে। তবে আশা রাখছি বামপন্থী প্রার্থীরা ভাল ফল করবেন।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen