বাংলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের নীচে – NITI Aayog
রাজনীতিতে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সত্যিই যদি ব্যাপক অনুপ্রবেশ হতো, তাহলে রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের উপরে থাকত।

বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন (Bengal Assembly Election 2026)। ইতিমধ্যেই বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করা শুরু হয়ে গেছে বিজেপি নেতাদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গেছে শাসক বিরোধী প্রচার। সেইমতোন বাংলার রাজনীতিতে প্রকট হয়েছে ‘দুর্নীতি’ (Corruption) ‘অনুপ্রবেশকারী’ (infiltration) এইধরণের শব্দগুলিও, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
অতীতেও নির্বাচনের ঠিক আগেই পশ্চিমবঙ্গে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’ নিয়ে সরব হয়েছেন মোদী, শাহ, যোগী সহ বিভিন্ন বিজেপি নেতারা। তাদের দাবি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তবে নীতি আয়োগের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট (NITI Aayog Report) সেই তত্ত্বকেই ভেঙে দিল। ‘সামারি রিপোর্ট ফর দ্য স্টেট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’ রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির (Population growth) হার জাতীয় গড় (০.৯%) থেকে অনেকটাই কম—মাত্র ০.৫%।রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলার ৩৬.৮% মানুষ শহরে বসবাস করেন, যা জাতীয় গড়ের চেয়ে কিছুটা বেশি। জনসংখ্যার ঘনত্বেও পশ্চমবঙ্গ, দেশের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে।
রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “”তত্ত্ব গড়া যায়, কিন্তু তথ্য কখনও মিথ্যে বলে না।” দিনকয়েক আগেই কোচবিহারের বাসিন্দাকে NRC নোটিস পাঠিয়েছে, পাশাপাশি বিহারের জন্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ভোটার তালিকার ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ (SIR) সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত যে ঘুরপথে এনআরসি চালু করারই আর একটি প্রক্রিয়া তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি।
বিজেপির বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের মাঝে নীতি আয়োগের এই রিপোর্ট, বিজেপির ‘অনুপ্রবেশ’ এর রাজনীতিতে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সত্যিই যদি ব্যাপক অনুপ্রবেশ হতো, তাহলে রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের উপরে থাকত। আর এই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ভাবতে পারে বাংলার সরকার। তবে এখন নজর, আসন্ন জনগণনার (Census) দিকে—যা এই বিতর্কে আরও তথ্য যোগ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।