করোনার প্রভাব কাটিয়ে বিদ্যুৎ চাহিদার উন্নতি বাংলায়

গতবছর যখন রাজ্যে করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছিল, তখন বিদ্যুতের স্বাভাবিক চাহিদা এক ধাক্কায় ৩৫-৩৬ শতাংশ কমে গিয়েছিল।

September 10, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা পর্বে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে রাজ্যের বিদ্যুৎ চাহিদা। গতবছর যখন রাজ্যে করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছিল, তখন বিদ্যুতের স্বাভাবিক চাহিদা এক ধাক্কায় ৩৫-৩৬ শতাংশ কমে গিয়েছিল। অর্থাৎ সে-সময় চাহিদা ছিল স্বাভাবিক সময়ের ৬৪-৬৫ শতাংশ। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭৮ শতাংশ। বুধবার মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন বিদ্যুৎ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুরেশকুমার। 


তবে এরাজ্যে যতটা বিদ্যুতের চাহিদা হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। বলেন, বর্তমানে রাজ্যে দিনপিছু গড়ে প্রায় সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। এদিকে ১৯তম ইলেকট্রিক পাওয়ার সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী চলতি আর্থিক বছরে, অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা হওয়ার কথা ছিল ৬ হাজার ৫০০ কোটি ইউনিট। কিন্তু গত আর্থিক বছরে তা ছিল প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি ইউনিট। এর মধ্যে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আওতায় ৩ হাজার ২০০ কোটি ইউনিট এবং সিইএসসি এলাকায় ৮০০ কোটি ইউনিট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল।  শিল্পক্ষেত্রগুলিতে তুলনামূলক কম চাহিদা থাকা এর একটি কারণ বলে জানিয়েছেন সুরেশ কুমার। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে বণ্টন সংস্থার আওতায় যে বিদ্যুৎ খরচ হয়, তার ২২ থেকে ২৩ শতাংশ যায় শিল্পক্ষেত্রে। সিইএসসি এলাকায় তার হার বেশি, প্রায় ৩৫ শতাংশ।


অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী আখরুজ্জামান বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০১১ সালে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন রাজ্যে বিদ্যুৎ গ্রাহক ছিল ৮৪ লক্ষ। কিন্তু এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৮ লক্ষ। গত অর্থবর্ষে রাজ্যে ১ হাজার কোটি টাকা বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। উপকৃত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৪৪ লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহক। এমনকী পরিষেবা বাড়াতে রাজ্য মোট সাব স্টেশন তৈরি হয়েছে ৭১৯টি, যা ১০ বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen