Preamble: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ বাদ নয়, বিরোধী চাপের মুখে পিছু হটল কেন্দ্র

সরকারের এই অবস্থান অনেকের কাছেই এক ধরণের পিছু হটা বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন বিরোধী দলগুলি ধারাবাহিকভাবে এই ইস্যুতে তীব্র চাপ তৈরি করেছিল।

July 25, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:২১: সংবিধানের প্রস্তাবনা (Preamble) থেকে “ধর্মনিরপেক্ষ” (secular) এবং “সমাজতান্ত্রিক” (socialist) শব্দ দু’টি বাদ দেওয়ার বিষয়ে কোনও আইনি বা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু করেনি কেন্দ্র সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) এই তথ্য জানিয়েছে আইন ও বিচার মন্ত্রক।

রাজ্যসভার সাংসদ রামজী লাল সুমনের (Ramji Lal Suman) প্রশ্নের উত্তরে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল (Arjun Ram Meghwal) স্পষ্ট জানান, “এই দু’টি শব্দ বাদ দেওয়ার বিষয়ে সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।”

সরকারের এই অবস্থান অনেকের কাছেই এক ধরণের পিছু হটা বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন বিরোধী দলগুলি ধারাবাহিকভাবে এই ইস্যুতে তীব্র চাপ তৈরি করেছিল। বিজেপির (BJP) একাংশ থেকে প্রস্তাবনা পরিবর্তনের দাবি ওঠার পর থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ করেন, এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ও গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। সংসদ থেকে আদালত, এবং জনপরিসরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্র।

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী মেঘওয়াল এও স্মরণ করিয়ে দেন যে, ২০২৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এক রায়ে জানিয়েছিল, সমাজতন্ত্র ভারতের কল্যাণরাষ্ট্রের ভাবনার (welfare state philosophy) পরিচয় বহন করে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা হল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর (basic structure) অবিচ্ছেদ্য অংশ।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৬ সালের সংবিধান সংশোধনের বিরুদ্ধে করা একাধিক রিট খারিজ করে দেয়। এই মামলাগুলি দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy) ও অশ্বিনী উপাধ্যায় (Ashwini Kumar Upadhyay)। এছাড়া এক ব্যক্তিগত আবেদনকারী বলরাম সিংয়ের (Balram Singh) মামলাকেও আদালত কোনো স্বীকৃতি দেয়নি।

১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার (Emergency) সময় হওয়া ৪২তম সংবিধান সংশোধনীর (42nd Amendment) মাধ্যমে প্রস্তাবনায় যুক্ত হয় “সমাজতান্ত্রিক” ও “ধর্মনিরপেক্ষ” শব্দদুটি।

এখন কেন্দ্র বলছে, তারা ওই সংশোধনীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধীদের চাপ, গণমাধ্যমে বিতর্ক, এবং আদালতের কড়া অবস্থান – এই তিনটি কারণে সরকার এই ইস্যুতে আপাতত পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen