Primary TET Verdict: ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল, কী বললেন ব্রাত্য-অরূপ?

December 3, 2025 | 2 min read
Published by: Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৪৮: প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার রায় দিয়েছে, সকলের চাকরি বহাল থাকবে। অর্থাৎ তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ খারিজ হয়েছে। এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, “এটা সত্যের জয়।” যদিও তিনি সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করেননি, তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী আরও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “ঢাকি সমেত বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন হয়েছে।” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “তিনি বিচারপতি ছিলেন না, বিজেপির দালাল ছিলেন, আজ তা স্পষ্ট।”

অরূপের দাবি, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুধুমাত্র চাকরি খাওয়ার জন্যই রায় দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীরা কাক-চিল-শকুনের মতো অপেক্ষা করছিলেন রাজ্যের যুবকদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হওয়ার জন্য। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে প্রমাণ হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক ছিল এবং বিরোধীদের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশ ছিল, চাকরি বাতিল হলেও শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে যায়।

ডিভিশন বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ৯ বছর পর একসঙ্গে এতজনের চাকরি কেড়ে নেওয়া হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এতে হাজার হাজার পরিবার সমস্যায় পড়বে। বেঞ্চের বক্তব্য, দুর্নীতির তদন্ত চলবে, তবে চাকরি বাতিল করলে সব প্রার্থীর গায়ে অযথা কলঙ্ক লেগে যাবে। চাকরি করার সময়কালে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। পরীক্ষকদের বেশি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এমন কোনও প্রমাণও সামনে আসেনি। কয়েকজন অসফল প্রার্থীর জন্য গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষতি হতে পারে না বলেই রায় দিয়েছে আদালত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen