পঞ্জাবে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণা, নাম নেই বন্যা-বিধ্বস্ত বঙ্গের, লোকসভার বিজ্ঞপ্তিতেও ফের বঞ্চিত বাংলা?

October 16, 2025 | < 1 min read
Published by: Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০০: প্রবল বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার-সহ বাংলার বেশ কিছু জেলা। পাহাড় থেকে সমতল-বৃষ্টির জেরে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত, সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পঞ্জাবের বিপর্যয়ের পাশে দাঁড়ালেও, বাংলার নাম নেই কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে। এই বাদ পড়া নিয়েই রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন।

বুধবার লোকসভা সচিবালয়ের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, “প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাঞ্জাব ক্ষতিগ্রস্ত। পঞ্জাবের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।” সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, সাংসদরা চাইলে তাঁদের এমপি ল্যাড তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত পঞ্জাবের পুনর্বাসন ও পুনর্নিমাণে দিতে পারেন। এই অর্থ দিতে হবে নির্দিষ্ট ই-সাক্ষী পোর্টালের মাধ্যমে, আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।

প্রশ্ন উঠছে, যদি পাঞ্জাবকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করা যায়, তবে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিপর্যয় পরিস্থিতিকে কেন নয়? বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কেন্দ্রের এই নীতি রাজ্যভিত্তিক পক্ষপাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এদিকে, কাশ্মীরের বৈসরণে পাকিস্তানি হামলা ও তার পালটা জবাবে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর (Operation Sindoor) পরও উপত্যকার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ঘুরে দাঁড়ায়নি। পর্যটন থেকে শুরু করে আপেল, কাঠ ও কার্পেট শিল্প, সব ক্ষেত্রেই মন্দার প্রভাব স্পষ্ট।

সম্প্রতি সংসদের বাণিজ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটি কাশ্মীর সফরে যায়। ওই কমিটির চেয়ারম্যান তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen)। সেখানে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে উপত্যকার ব্যবসায়ীরা কমিটির কাছে অনুরোধ জানান, কাশ্মীরের ব্যবসা ও পর্যটনের পুনরুজ্জীবনে সংসদীয় সদস্যরা যেন আরও প্রচার করেন। সূত্রের খবর, কমিটির সদস্যরা শিগগিরই নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে কাশ্মীরের ইতিবাচক দিক তুলে ধরবেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen