কাতার বিশ্বকাপেও ম্যাজিক দেখাতে শুরু করে দিলেন ‘চীনের প্রাচীর’ ওচোয়া
২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপের দলেও ছিলেন ওচোয়া। প্রথম দুই বিশ্বকাপে একাদশে জায়গা না পাওয়া ফুটবলার থেকে মেক্সিকোর বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফর্মার হওয়া সম্ভব হয়েছে শুধুই ওচোয়ার ত্যাগ আর পরিশ্রমের কারণে

কাতার বিশ্বকাপেও (Qatar World Cup 2022) ম্যাজিক দেখাতে শুরু করে দিলেন মেক্সিকান গোলকিপার গিলের্মো ওচোয়া। বিশ্ব ফুটবলে যিনি ‘চীনের প্রাচীর’ হিসেবে পরিচিত। যার বাবরি চুল দেখে তাঁকে জগৎ-সংসারের উদাসীন কোনও কবি বলেই মনে হয়।
বিশ্বকাপ শুরু হলেই তিনি সকলের আলোচনার মধ্যে চলে আসেন। নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য তিনি যেন কেবল বিশ্বকাপের মঞ্চকেই পছন্দ করেন। এবারও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচেই পোল্যান্ডের (Poland) বিপক্ষে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কির পেনাল্টি রুখে দিলেন। যেভাবে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে লেভানডফস্কির শট ঠেকালেন, তা দেখে মনে হতে পারে, তিনি আগে থেকেই জানতেন, লেভা কোন দিকে শট নেবেন!
১৯৬৬ সালের পর এই প্রথম কোনও মেক্সিকান গোলকিপার বিশ্বকাপে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পেনাল্টি ঠেকালেন। ওচোয়া (Guillermo Ochoa) প্রথমবার আলোচনায় আসেন ২০১৪ বিশ্বকাপে। সে বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে জিততে দেননি। রাশিয়া বিশ্বকাপে তো জার্মানিকে হারিয়েই দিয়েছিলেন এই গোলকিপার। বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার এই অতীত রেকর্ডের কারণেই পেনাল্টির সময় ওচোয়ার পক্ষেই বাজি ধরেছিলেন ওচোয়ার সতীর্থরা। ‘আমরা জানি, “মেমো” (ডাকনাম) বড় মঞ্চে কেমন করে। সে আগের বিশ্বকাপগুলোয় দেখিয়েছে। আবারও করে দেখাল’—ম্যাচ শেষে বলেছেন মেক্সিকো ফরোয়ার্ড হেনরি মার্তিন।
২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপের দলেও ছিলেন ওচোয়া। প্রথম দুই বিশ্বকাপে একাদশে জায়গা না পাওয়া ফুটবলার থেকে মেক্সিকোর বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফর্মার হওয়া সম্ভব হয়েছে শুধুই ওচোয়ার ত্যাগ আর পরিশ্রমের কারণে। এমনটা বলছেন ওচোয়ার আরেক সতীর্থ অ্যালেক্সিস ভেগা।