করোনা রোধে খোঁজই নেই সাংসদের , আলিপুরদুয়ারে উঠছে প্রশ্ন

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতারা।

May 15, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অভিযোগ, পাশাপাশি প্রতিষেধক নিয়ে বাড়ছে দুর্ভোগ। জেলাবাসীর একাংশের আরও নালিশ, গেরুয়া শিবিরের ‘ডবল ইঞ্জিন’ আলিপুরদুয়ারে প্রতিষেধকের জোগানের উদ্যোগ তো দূরের কথা, বিজেপি সাংসদ জন বার্লার খোঁজই নেই। মানুষের পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে না দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদেরও। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতারা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।

জেলার পাঁচটি বিধানসভা আসনের সবেতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। গত লোকসভা নির্বাচনেও চা বলয় অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ারে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জয় পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির জন বার্লা। বিজেপির এক জেলা নেতার বক্তব্য ছিল, ‘‘রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পারলেও আলিপুরদুয়ারকে কিন্তু আমরা ডবল ইঞ্জিন করতে পেরেছি।’’

কিন্তু সেই আলিপুরদুয়ারেই কিছুদিন ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অভিযোগ, প্রতিষেধেকের একটি ডোজ় পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অথচ, এমন পরিস্থিতিতে সাংসদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন অনেকে। কেন্দ্রে বিজেপির সরকার থাকা সত্বেও সাংসদ কেন জেলায় আরও বেশি পরিমাণে প্রতিষেধক আনতে তৎপরতা দেখাচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সেইসঙ্গে জেলার নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদেরও মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর অভিযোগ, ‘‘যে করেই হোক ক্ষমতা দখল করে মানুষকে ভুলে যাওয়াই তো বিজেপির চরিত্র। বিজেপি যে কখনওই মানুষের কথা ভাবে না, ফের প্রমাণিত হল।’’ তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, ‘‘সাংসদের খোঁজ পেতে আমরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার কথা ভাবছি।’’

বার্লা অবশ্য বলেন, ‘‘আমি মানুষের পাশে রয়েছি। তৃণমূলকে দেখিয়ে আমি কাজ করি না। তৃণমূলের নেতাদের উচিত নিজের কাজ করা।’’

এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটা থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপির দুই জেলা সাধারণ সম্পাদক সুমন কাঞ্জিলাল ও দীপক বর্মণ। দীপক বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলায় যে কোনও সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। এ দিনও ব্লক প্রশাসনকে তা জানিয়েছি।’’ সুমন বলেন, ‘‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জেলায় কোথায়, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছি। খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে সিএমওএইচের সঙ্গেও দেখা করব।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen