EPF গ্রাহক কমেছে প্রায় ৯ লক্ষ, প্রশ্নের মুখে মোদীর কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৪৭: ভোটের আগে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি যতই জোরালো হোক, বাস্তব চিত্রটা অনেকটাই উদ্বেগজনক। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে এক হতাশাজনক তথ্য। গত দু’বছরে সারা দেশে EPF গ্রাহকের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫২১। যা সরাসরি কর্মসংস্থানের সংকোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
*শ্রমমন্ত্রকের অধীনস্থ ইপিএফও-র সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর পে-রোল রিপোর্ট অনুযায়ী*
– ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইপিএফ সদস্য সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৮৯
– ২০২৩-২৪-এ তা কমে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৪৮ হাজার ২০৪
– ২০২৪-২৫-এ আরও কমে ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৬৮-এ পৌঁছেছে
*এই পতন শুধু নতুন নিয়োগে নয়, ইপিএফ পরিষেবা থেকে বেরিয়ে যাওয়া সদস্যদের সংখ্যাতেও স্পষ্ট।*
– ২০২২-২৩-এ ইপিএফ ছাড়েন ১ কোটি ৩৩ লক্ষ
– ২০২৩-২৪-এ ১ কোটি ৪৯ লক্ষ
– ২০২৪-২৫-এ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৮৩ লক্ষ
যদিও রিপোর্টে স্পষ্ট নয়, তাঁরা চাকরি হারিয়েছেন নাকি স্বেচ্ছায় ইপিএফ (EPF) ছেড়েছেন, তবে যেকোনো কারণেই হোক, এই পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য যথেষ্ট অস্বস্তিকর।
বিশ্লেষকদের মতে, ইপিএফ সদস্য সংখ্যা কমার অর্থ – বেসরকারি সংস্থাগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে। কারণ, মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই এই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবার আওতায় থাকেন। বয়সভিত্তিক ছয়টি ক্যাটিগরিতে ভাগ করে এই ‘নেট পে-রোল’ ডেটা প্রকাশ করেছে ইপিএফও, যা আরও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের সুযোগ তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ইএলআই স্কিম বা কর্মসংস্থান-ভিত্তিক উৎসাহ ভাতা চালুর ঘোষণা করেছে। তবে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে – এই উদ্যোগ বাস্তবিক অর্থে কতটা কার্যকর?