রাহুল সভাপতি হলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও হার নিশ্চিত- বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা
রাহুল গান্ধী যদি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের সভাপতি থাকেন, তাহলে দলের জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। ২০১৪ এবং ২০১৯ নির্বাচন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত কংগ্রেসের।

গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিবালদের পর এবার কংগ্রেসের আরও এক বিক্ষুব্ধ নেতা বিস্ফোরণ ঘটালেন। কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে অন্যতম ওই নেতা বলছেন, রাহুল গান্ধী যদি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের সভাপতি থাকেন, তাহলে দলের জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। ২০১৪ এবং ২০১৯ নির্বাচন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত কংগ্রেসের।
দিনকয়েক আগে দলের নেতৃত্বে বদল চেয়ে যে ২৩ জন নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন, নাম জানাতে অনিচ্ছুক এই নেতাও তাঁদের মধ্যে ছিলেন। তিনি বলছেন, ‘আমরা এমন কোনও জায়গায় নেই যাতে বলা যায়, ২০২৪ লোকসভায় রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস ৪০০ আসন জিতবে। আমাদের বুঝতে হবে ২০১৪ এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমরা যথেষ্ট আসন পাইনি। সিমলা থেকে নাগপুর পর্যন্ত মাত্র ১৬টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। তার মধ্যেও আবার আটটা শুধু পাঞ্জাবেই। আসলে আজ বাস্তবের মাটি অন্য কথা বলছে। দল যদি কোনও বৈঠক ডাকে তাহলে আমি আমার মতামত জানাতে চাই।’
গত কয়েকমাস ধরেই রাহুলকে দলের সভাপতি পদে ফেরানোর দাবিতে আওয়াজ উঠছে কংগ্রেসের অন্দরে। একাধিকবার দলের নেতারা প্রাক্তন সভাপতিকে অনুরোধও করেছেন, দায়িত্ব ফিরিয়ে নিতে। বস্তুত দলের সিংহভাগ সমর্থকই এখনও রাহুলকেই নেতা হিসেবে পছন্দ করেন। কিন্তু যে ২৩ জন নেতা নেতৃত্বে বদল চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন, তাঁরা অন্তত গান্ধী পরিবারের কাউকে আর সভাপতি পদে চাইছেন না। এই বিক্ষুব্ধ নেতা সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন। তাঁর সাফ কথা, এটা কোনও ব্যক্তিগত লড়াই নয়। কংগ্রেসের উচিত ভারতের সংবিধান বাঁচানোর জন্য বিজেপির শক্ত বিকল্প হিসেবে উঠে আসা।
এদিকে ২৩ জন নেতার চিঠির পরও কংগ্রেসের নেতৃত্বের এখনও কোনও বদল হয়নি। দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী পদে রেখে দেওয়া হয়েছে সোনিয়া গান্ধীকেই। যদিও শোনা যাচ্ছে, মাস ছ’য়েকের মধ্যেই অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের আয়োজন করতে চায় দল।