রায়গঞ্জ প্রথমবারের জন্য তৃণমূল সাংসদ পাচ্ছে, গোয়ালপোখরের মঞ্চ থেকে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক

অভিষেক বললেন, ‘‘পরের বার আরও বড় ময়দানের ব্যবস্থা করতে বলব রব্বানি ভাইকে। যে ভাবে জনসমাগম বেড়েছে এখানে।

April 20, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শনিবার রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) সমর্থনে জনসভায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিন লক্ষ ভোটে আমাদের জেতান। জুন মাসে এখানে এসে বিজয় মিছিল করব। ৪ জুন ফলাফলের পর আপনাদের সঙ্গে উদযাপন করব। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিজয় মিছিল করব। কথা দিলাম। সকলকে বলে গেলাম। কিন্তু সবাই ঠিক করে নিন, গরম বেশি পড়লেও ভোট দিন। মঞ্চে উঠেই অভিষেক বললেন, ‘‘পরের বার আরও বড় ময়দানের ব্যবস্থা করতে বলব রব্বানি ভাইকে। যে ভাবে জনসমাগম বেড়েছে এখানে। এই প্রথম বার রায়গঞ্জে জিততে চলেছে তৃণমূল।’’ উর্দুভাষাভাষী এলাকায় ভোটের প্রচারে হিন্দিতে বক্তব্য রাখলেন অভিষেক।

২৬ এপ্রিল রায়গঞ্জে ভোট রয়েছে। এদিনের সভামঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তৃণমূল সেনাপতি, আমাদের কম ভয় দেখায়নি। ইডি, সিবিআই। ঘর, পরিবার, মা-বাবা, বাচ্চা কাউকে ছাড়েনি। তবু মাথা উঁচু করে লড়ছি। দিল্লির কুকুর হয়ে থাকার থেকে বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচব। ২৬ তারিখ মাথা উঁচু করে ভোট দিন।

ওই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে নিয়েও আক্রমণ শানান অভিষেক, নাম না করে দেবশ্রী প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “এখানকার বিজেপি সাংসদ এবার দক্ষিণ কলকাতায় গিয়েছেন লড়তে। এখানকার সাধারণ মানুষ, এমনকি বিজেপি নেতারাও তাঁকে দেখেননি। তিনি এবার দক্ষিণ কলকাতায় কড়া জবাব পাবেন। উনি দু’বছর কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন। একটাও কি প্রকল্প এনেছিলেন আপনাদের জন্য?অনেক লোক বাইরে আটকে ছিলেন লকডাউনে। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য কোনও পদক্ষেপ করেছিলেন?”

গোয়ালপোখরে বিজেপিকে নয়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বললেন, ”ওরা বলছে, ৪০০ পার। আর আমরা বলছি, ৪৪০ ভোল্টের ঝটকা। দিল্লিতে ভূমিকম্প চাই, এমনভাবে দু’নম্বর বোতাম টিপুন তাতে যেন দিল্লিতে ভূমিকম্প হয়। যারা ভাগাভাগির কথা বলে, হিন্দুর বিরুদ্ধে মুসলমানদের লড়িয়ে দেয়, দাঙ্গা করায়, তাদের সরাতে হবে। মোদী বলেন, ৪০০ পার। আমি বলি, ওঁদের ৪৪০ ভোল্টের ঝটকা দিতে হবে।’’

রায়গঞ্জের জনতার উদ্দেশ্যে অভিষেকের আর্জি, ”ওঁরা যে ভাষা বোঝে, সেটাই বলুন। আপনারা দল ভাঙার রাজনীতি জানলে, তৃণমূলও জানে। কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি ছেড়ে আসার পরেই ওঁর বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা। দু’দিন ধরে চলেছিল। তা-ও তিনি নত হননি। লড়াই করেছেন। যে নিজের ভালবাসা নিয়ে এঁদের সঙ্গে লড়াই করে, তাঁদের জনতার প্রতিনিধি হওয়া উচিত কি না, আপনারাই বলুন? কৃষ্ণ কল্যাণীকে জিতিয়ে বিজেপিকে জবাব দিন। তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আয়কর বিভাগ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। কিন্তু কৃষ্ণ কল্যাণী লড়াই করেছেন। এমন জনপ্রতিনিধিরই তো জেতা উচিত। দিল্লিকে আমরা ভয় পাই না। দিল্লির কুকুর হওয়ার চেয়ে বাংলার বাঘ হওয়া ভালো। আমি কথা দিচ্ছি, ৪ জুন ফল প্রকাশের পরই আমি এখানে আসব। সকলের সঙ্গে বিজয় উৎসবে শামিল হব।” তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মন কি বাত করেন। গত পাঁচ বছরে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের কেউ এসে কি জিজ্ঞেস করেছিল, কিছু প্রয়োজন? খাবেন? অনেক লোক বাইরে আটকে ছিলেন লকডাউনে। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য কেউ কোনও পদক্ষেপ করেছিলেন?’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen