বন্ধ দীঘা যাওয়ার এক্সপ্রেস, হতাশ পর্যটকরা
দ্রুত দীঘাগামী এক্সপ্রেস চালানোর দাবি তুলেছেন হোটেল মালিক সংগঠন থেকে পর্যটকরা।

৩০নভেম্বর থেকে দীঘাগামী এসি সুপার স্পেশাল ট্রেন (AC super special train) বন্ধ করে দিয়েছে রেল বোর্ড। গত ১৫অক্টোবর থেকে দীঘা যাওয়ার ওই স্পেশাল ট্রেনটি চালু হয়েছিল। দেড় মাসের ব্যবধানে সেই ট্রেন তুলে নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে দীঘা যাওয়ার কোনও এক্সপ্রেস নেই। অথচ দীঘা থেকে নিয়মিত তিনটি এক্সপ্রেস চলত। এছাড়াও অন্তত ছ’টি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ছিল। আপাতত একটি বাদে সমস্ত লোকাল চালু হলেও কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন দীঘা যাচ্ছে না। অথচ শীতের মরশুমে দীঘাগামী পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। লোকাল ট্রেনে গাদাগাদি করে পর্যটকরা যাতায়াত করছেন। এর ফলে অনেকেই সংক্রামিত হওয়ার ভয় পাচ্ছেন। তাছাড়া দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াতে অভ্যস্ত পর্যটকদের পক্ষে লোকালে যাতায়াত করাটাও সমস্যা। তাই দ্রুত দীঘাগামী এক্সপ্রেস চালানোর দাবি তুলেছেন হোটেল মালিক সংগঠন থেকে পর্যটকরা।
পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে মুর্শিদাবাদে লালবাগ যাতায়াতের জন্য ভাগীরথী ও হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস চালু করেছে রেলদপ্তর। অথচ দীঘাগামী কোনও এক্সপ্রেস চালু নেই। শীত পড়লেই দীঘায় পর্যটকের ঢল নামে। বিশেষ করে ২৫ডিসেম্বর থেকে ১জানুয়ারি পর্যন্ত বড়দিন এবং নিউ ইয়ারের ছুটিতে দীঘা ‘হাউসফুল’ থাকে। এই মুহূর্তে জোরকদমে বুকিং চলছে। কিন্তু, কোনও এক্সপ্রেস চালু না থাকায় পর্যটকদের অনেকেই হতাশ। বাধ্য হয়ে বহু পর্যটক প্রাইভেট কারে দীঘা বেড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই যত কম সম্ভব এক্সপ্রেস চালানো হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে।
দীঘা (Digha) যাতায়াতের জন্য দৈনিক তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, কাণ্ডারি এক্সপ্রেস এবং এসি সুপার ট্রেন ছিল। এর বাইরে নিউ জলপাইগুড়ি-দীঘা পাহাড়িয়া এক্সপ্রেস, আসানসোল-দীঘা এক্সপ্রেস, মালদহ টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস সপ্তাহে একদিন করে চলাচল করত। কিন্তু, এই মুহূর্তে দীঘা যাওয়ার একটিও এক্সপ্রেস ট্রেন নেই। এদিকে লকডাউনের পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ময়না, নন্দীগ্রাম, নন্দকুমার, দুর্গাচক টাউন, হলদিয়া, কাঁথি শহর, এগরার প্রতাপদিঘি এলাকায় দূরপাল্লার ট্রেনের বুকিং কাউন্টার বন্ধ। এর ফলে তমলুক স্টেশনে বুকিংয়ের ভিড় বাড়ছে। একই সঙ্গে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটের জন্য কালোবাজারিও বাড়ছে। দালালদের একটা গ্রুপ স্টেশন চত্বরে রাত কাটিয়ে টিকিট কেটে চড়া দরে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। ওই সব বুকিং কাউন্টার যাতে দ্রুত খোলা হয়, সেব্যাপারেও অনেকে দাবি তুলেছেন।
রেল অনুমোদিত লবণ সত্যাগ্রহ স্টেশনের টিকিট বিক্রেতা ভরত দাস বলেন, এই মুহূর্তে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা জরুরি। দীঘা যাওয়ার জন্য পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, দীঘা যাতায়াতের জন্য বেশিরভাগ লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, একটিও এক্সপ্রেস ট্রেন এখন চলছে না। আমাদের দাবি, দ্রুত এক্সপ্রেস চালাতে হবে।