দ্রুত গতির দূরপাল্লায় থাকবে না স্লিপার, থাকবে শুধু এসি কোচ

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, রেলের পরিকল্পনা হল– যে সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার শুধু সেখানেই নন-এসি স্লিপার কোচ থাকবে।

October 12, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বেসরকারি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার আরও এক বড় সংস্কারের পথে ভারতীয় রেল। কিছু কম গতির মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়া স্লিপার কোচ আর থাকবে না। সব কামরা হয়ে যাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, রেলের পরিকল্পনা হল– যে সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার শুধু সেখানেই নন-এসি স্লিপার কোচ থাকবে।

রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন এসি থ্রি-টিয়ার কোচে ৭২-এর পরিবর্তে থাকবে ৮৩টি করে আসন। দ্রুত গতির ট্রেনে স্লিপার ক্লাস না থাকায় নতুন এসি কোচে বেশি ভাড়া গুণতে হবে যাত্রীদের। তবে সেই ভাড়া বর্তমানের এসি কোচের তুলনায় কম হবে। পঞ্জাবের কপূরথালা রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে নতুন এসি কামরা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরে এই ধরনের ১০০টি কোচ তৈরি করতে চায় রেল। আগামী বছরের মধ্যে তা বাড়িয়ে ২০০ করার পরিকল্পনা।

রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র ডি জে নারাইন জানিয়েছেন, দ্রুত গতির ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধু এসি কোচ রাখাটা প্রযুক্তিগতভাবে দরকারি হয়ে উঠেছে। স্লিপার কোচ থাকলে বাতাস এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত কারণে গতি বাড়ানোর সমস্যা হয়। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান তথা সিইও বিনোদকুমার যাদব এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দফায় দফায় এই কাজ করবে রেল। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ১,৯০০ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার করার যে লক্ষ্য নিয়েছে রেল, তারই অঙ্গ হিসেবে স্লিপার ক্লাস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। ২০২৫ সালের মধ্যে এই সব ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।

যাদব দাবি করেছেন, এই নতুন পদক্ষেপে রেল সফর আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক হবে। তাঁর বক্তব্য, স্লিপার কোচ তুলে না দিলে ট্রেনের গতি বৃদ্ধি সম্ভব নয়। তবে এখনই কোনও নন-এসি ট্রেন থাকবে না, এমনটা নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। যাদব জানান, ধীরে ধীরে প্রায় ১,৯০০ ট্রেনের স্লিপার কোচ বাতিল করে সব কামরা এসি করা হবে। তখন স্লিপার কোচ শুধু দেখা যাবে প্যাসেঞ্জার ও কম গতির কিছু দূরপাল্লার ট্রেনে। কিন্তু ভারতের মতো দেশে, যেখানে দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের একটা বড় অংশ গরিব এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত, সেখানে এই ধরনের সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen