ব্যাঙ্কিং-এ কর্পোরেটদের প্রবেশের তীব্ৰ বিরোধীতা রাজনের

ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে। এছাড়াও অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ার আশঙ্কা তো থেকেই যায়।

November 24, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে বড় কর্পোরেট সংস্থাকে ডেকে আনার ভাবনার সমালোচনা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan)। তিনি সরাসরি তাকে ‘ভুল’ বলেই অভিহিত করলেন।

সম্প্রতি আরবিআই (RBI)–এর অভ্যন্তরীণ প্যানেল প্রস্তাব দিয়েছে, বেসরকারি ব্যাঙ্কে প্রোমোটারের অংশীদারির সর্বোচ্চ সীমা ১৫% থেকে বাড়িয়ে ২৬% করা হোক। দেশের বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক খোলার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে ওই কমিটি। এতে টাটা, বিড়লা, আম্বানি কিংবা মাহিন্দ্রাদের মতো বড় কর্পোরেট পুঁজির সংস্থা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ঢুকতে পারবে।

সোমবার লিঙ্কডিন–এ একটি নোট প্রকাশ করে রাজন এবং আরবিআই–এর ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য (Viral Acharya) বলেন, ‘প্রথমত, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থা ঢুকে পড়লে ধার নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের আর কোনও বাধা থাকবে না। কেউ কোনও প্রশ্ন করবে না। আর যারা সাধারণত ধার নিয়ে থাকে, তারা কীভাবে ধার দেবে?‌ দ্বিতীয়ত, ‌এতে কিছু বড় কর্পোরেট সংস্থার হাতে‌ই অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হতে থাকবে।’‌

তাঁরা আরো বলেন, ‘‌যদি ন্যায্যভাবেও লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়, তাহলেও বড় পুঁজির কর্পোরেট সংস্থাগুলি সবার আগে ছাড়পত্র পাবে। কারণ ব্যাঙ্ক খোলার জন্য ন্যূনতম পুঁজি তাদের হাতে আছে। এছাড়াও যেসব সংস্থার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের আতাঁত রয়েছে, তারাও অনায়াসে লাইসেন্স পেয়ে যাবে।’‌

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ প্যানেলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে মূল্যায়ণকারী সংস্থা এস অ্যান্ড পি বলে, বড় কর্পোরেট সংস্থাকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ঢুকতে দিলে ঝুঁকি আরও বাড়বে। স্বার্থের সঙ্ঘাত, অর্থনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে ভবিষ্যতে। তহবিলের অর্থ এদিক–সেদিক হতে পারে। ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে। এছাড়াও অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ার আশঙ্কা তো থেকেই যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen