শহিদ জওয়ান সুজয়কে গান স্যালুটে শেষ বিদায়, অশ্রুজলে ভাসল বীরভূমের রাজনগর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.২০: কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসদমন অভিযানে তুষারঝড়ে প্রাণ হারানো শহিদ জওয়ান সুজয় ঘোষের কফিনবন্দি দেহ ফিরল বীরভূমের রাজনগর কুন্ডিরায়। শনিবার বিকেলে জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিন পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা। চারপাশে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ, আশপাশের গ্রাম থেকেও ভিড় করেন অনেকে। সেনাবাহিনীর গার্ড অফ অনার ও সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয় লালমাটির এই সন্তানকে।
মাত্র ২৮ বছর বয়সে জীবন শেষ হয়ে গেল সুজয়ের। ছোটবেলা থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কৃষিকাজে যুক্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা সুজয় ছিলেন পরিবারের মেজো ছেলে। তাঁর সঙ্গে অভিযানে ছিলেন মুর্শিদাবাদের পলাশ ঘোষও, যিনি একই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
বুধবার অনন্তনাগের গাদুলেতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সুজয় ও পলাশ। অভিযানের সময় তুষারঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হন তাঁরা। পরে উদ্ধার করা হলেও তাঁদের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার তাঁদের মৃত্যুর খবর পৌঁছায় পরিবারে, শনিবার আসে দেহ।
কাশ্মীর থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দর হয়ে পানাগড় সেনাঘাঁটি, সেখান থেকে কফিনবন্দি দেহ পৌঁছায় কুন্ডিরায়। গ্রামের মাঠে রাখা হয় সুজয়ের দেহ, যেখানে সেনাবাহিনী গান স্যালুট দেয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, তৃণমূল নেতা কাজল শেখ-সহ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। এরপর বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। সুজয়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।