খেলবেন না রশিদ, তবুও তাঁর জন্য ডার্বিতে লড়বে ইস্টবেঙ্গল
ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজো বললেন,“এটা আমার জন্যও কঠিন। গতকাল খুব আবেগঘন মুহূর্ত ছিল। রশিদের বাবার মৃত্যুটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:০০: ১৭ আগস্ট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বসতে চলেছে এই মরশুমের দ্বিতীয় বড় ম্যাচ—কলকাতা ডার্বি। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এই সংঘর্ষ ঘিরে ইতিমধ্যেই শহরে উন্মাদনা তুঙ্গে। কিন্তু তার আগেই বড় এক দুঃসংবাদ এসে পৌঁছাল ইস্টবেঙ্গল শিবিরে।
দলের নতুন মাঝমাঠের ভরসা, মহম্মদ রশিদ হঠাৎই ছিটকে গেলেন এই লড়াই থেকে। ৩০ বছর বয়সি এই ফিলিস্তিনি মিডফিল্ডার ফিরে গিয়েছেন নিজের দেশে, বাবার আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর। ১৫ আগস্ট রাতেই তিনি ভারত ছেড়ে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছেন । মরশুমের শুরু থেকেই লাল-হলুদের জার্সিতে নজর কেড়েছিলেন রশিদ। এমনকি শেষ ম্যাচে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত এক গোল করে নিজের উপস্থিতির জানানও দিয়েছিলেন। ডার্বিতে তাঁকে ঘিরেই অনেক পরিকল্পনা ছিল কোচ অস্কার ব্রুজোনের।
ডার্বির আগে শনিবার প্রি-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে আবেগপ্রবণ শোনাল ইস্টবেঙ্গল কোচকে। ব্রুজো বললেন,
“এটা আমার জন্যও কঠিন। গতকাল খুব আবেগঘন মুহূর্ত ছিল। রশিদের বাবার মৃত্যুটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি আরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংবাদ ফাঁস হওয়ার ঘটনায়, “রশিদ আমাদের কাছে গোপনীয়তা চেয়েছিল। কিন্তু অনুশীলনের পরই খবরটা বাইরে চলে যায়। এটা ওর ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছে। আমি চাই না মিডিয়ায় বারবার এই প্রসঙ্গ উঠুক। ফুটবল ছাড়াও জীবনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকে। তাই রশিদের ব্যক্তিগত ব্যাপারটিকে পাশে রেখে আমরা এগোবো।”
কোচ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রশিদের জায়গায় যিনি খেলবেন, তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন তাঁর অভাব পূরণ করতে। আর দলও একসঙ্গে দাঁড়াবে এই কঠিন সময়ে।
শেষে ব্রুজো আরও বলেন, “আমাদের আগামীকালের জয় শুধু সমর্থকদের জন্য নয়, রশিদের প্রতিও উৎসর্গ করা হবে। মাঠে ও না থাকলেও, ও আমাদের মনে থাকবে।”
দলের আরেক খেলোয়াড় সৌভিক চক্রবর্তী এই দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বললেন,”রশিদের জন্য আমরা ডার্বিটা জিততে চাই।”
সব মিলিয়ে, ডার্বির আগে আবেগ ও দায়িত্বে মিশে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল শিবির। রশিদকে ছাড়া লড়াই কঠিন হলেও, দল চাইছে তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে মাঠে সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরতে।