বঙ্গ BJP-র সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, নবান্নকে খোঁজ নিতে নির্দেশ রাইসিনা হিলসের
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঝাঁপাতে গোটা শিবির তার আগে এমন অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বিজেপির তাল কাটবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৩৮: দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠছে। খোদ বিজেপি অন্দরেই উঠছে অভিযোগ। অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে নবান্নকে চিঠি পাঠাল রাষ্ট্রপতি ভবনের সচিবলায়। রাষ্ট্রপতি ভবনের সচিবালয় জানিয়েছে, বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যেন খোঁজখবর করে দেখে নবান্ন। তারপর যথাযথ পদক্ষেপ করে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের রাজ্য সংগঠনের কোনও পদাধিকারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি ভবনে দুর্নীতির অভিযোগ জানানোর কথা সাম্প্রতিক অতীতে মনে করা যাচ্ছে না। নবান্নে, রাইসিনা হিলস থেকে এই বিষয়ে চিঠি পাঠানোর ঘটনাও বিরল।
রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থকে গত ২ জুলাই এ ব্যাপারে চিঠি দেন রাষ্ট্রপতি ভবনের আন্ডার সেক্রেটারি গৌতম কুমার। সূত্রের খবর, চিঠিতে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেআইনি লেনদেন, আয় বহির্ভূত সম্পত্তি ইত্যাদি সহ দুর্নীতির অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযোগপত্রটি পাঠিয়েছেন জনৈক উদয় সিংহ। তিনি নিজেকে বিজেপির সদস্য বলে দাবি করেছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বেআইনিভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
জগন্নাথের বিরুদ্ধে বিজেপির মধ্যে থেকেই বার বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগপত্রটি রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়াও, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই, অর্থ মন্ত্রক, আয়কর দপ্তর, ইডি, লোকপাল, নির্বাচন কমিশন এবং এমনকি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও পাঠানো হয়েছে। বাংলার মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনিক ও আইনানুগ পদক্ষেপ করা হয় এবং পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে অভিযোগকারীকে জানানো হয়। যদিও নবান্ন তরফে সরকারিভাবে এখনও কিছুই জানানো হয়নি।
বিজেপি নয়া রাজ্য সভাপতি পেয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঝাঁপাতে গোটা শিবির তার আগে এমন অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বিজেপির তাল কাটবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলগুলোর কাছে হাতিয়ার হয়ে উঠবে বিজেপি নেতা জগন্নাথের দুর্নীতি।