মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে দাবি করেও বাড়লো রেপো রেট! ঋণের চাপে নাভিশ্বাস আমজনতা

মোদী সরকারের আর্থিক নীতিকে নীতিহীন নীতি বলেই কটাক্ষ করেন বিরোধীরা

February 9, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকারের আর্থিক নীতিকে নীতিহীন নীতি বলেই কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। অবশ্য মোদী সরকারের একাধিক পদক্ষেপ তেমন ইঙ্গিতই বহন করেন। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার জন্যে রেপো রেট বাড়ানো হয় মোদী আমলে। আবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে দাবি করেও রেপো রেট বাড়ায় মোদী সরকার। উভয় ক্ষেত্রেই আম জনতার ব্যাঙ্কঋণের উপর চাপে সুদের বোঝা বাড়ে। বাজেটের পরই আম জনতার উপর ফের নেমে এল খাড়ায় ঘা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ বৈঠক শেষে গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানালেন, আবারও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে রেপো রেট হল ৬.৫ শতাংশ। আট মাস আগে এই হারই ছিল ৪ শতাংশ। জনসাধারণের বাড়ি, গাড়ি কেনার জন্যে ঋণ ও ব্যক্তিগত ঋণ উপর সুদের হার ফের বাড়তে চলেছে। ইএমআইয়ের অঙ্কও বাড়বে।

উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও মোদী সরকার বিগত দু-মাস ধরে লাগাতার দাবি করে আসছে, দেশের মূল্যবৃদ্ধির হার নাকি নিম্নগামী হয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। আম জনতা ভেবেছিল, নতুন করে আর রেপো রেট বাড়ানোর পথে হাঁটবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কেউ কেউ মনে করেছিলেন, এবার হয়ত রেপো রেট কমবে। কিন্তু সব উল্টো হল। ফের বাড়লো রেপো রেট। যদিও কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিলই। আশঙ্কাই সত্যি হল। সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দু-দিনব্যাপী নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছিল। গতকাল বৈঠক শেষ হতেই, রেপো রেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে দুটি পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, আগামী অর্থ বছরের মূল্যবৃদ্ধির হার হবে ৫.৩ শতাংশ। দ্বিতীয়ত, আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৪ শতাংশে পৌঁছবে।

গত এক বছরেরও বেশি সময় যাবৎ মূল্যবৃদ্ধির চাপে নাজেহাল আম জনতা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দাবি করেছিল, মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে রেপো রেট বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। গত মে মাস থেকে লাগাতার রেপো রেট বৃদ্ধি করা হয়। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বাড়ি-গাড়ির ঋণের উপর সুদের হার। মূল্যবৃদ্ধির ও ইএমআই; জোড়া আক্রমণে মানুষ বিধ্বস্ত। গত নভেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কই স্বীকার করে, লাগাতার রেপো রেট বাড়িয়ে কোনও লাভই হয়নি। মূল্যবৃদ্ধি কমেনি। কিন্তু রেপো রেট বাড়ানো থেকে পিছু হঠছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নতুন বছরেও রেপো রেট বাড়ানোর পন্থা অব্যাহত রাখা হল। মূল্যবৃদ্ধিকে আরও নিয়ন্ত্রণে আনতেই কি এমনটা করা? তথ্য অন্য কথা বলছে। যেদিন থেকে রেপো রেট বাড়ানো শুরু হয়েছে, তারপর থেকে বর্ধিত সুদের টাকায় প্রতিটি ব্যাঙ্ক তাদের মুনাফা বাড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মুনাফাকে শিখরে নিয়ে যেতেই এমন করা হচ্ছে। সেই কারণেই এখন ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে না মোদী সরকার। ২০২৪ সালের ভোটের আগে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ সংক্রান্ত বিল আসবে না সংসদে। কারণ, রেপো রেটের কারণের ব্যাঙ্কগুলোর মুনাফা বাড়ছে। এহেন সোনার ডিম পাড়া হাসকে একবারে মারবে না মোদী সরকার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen