ভারতে বায়ু দূষণের নেপথ্যে কারণ কী

যুক্তরাষ্ট্রীয় নজরদারি সংস্থা সফরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় বায়ুর মানের সূচক ছিল ৪০০-র বেশি। এই সূচকে সর্বোচ্চ মান হল ৫০০।

December 2, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

প্রতি বছর শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এক বিষাক্ত ধোঁয়ার কুণ্ডলী উত্তর ভারতকে ঢেকে ফেলে। এর ফলে রাজধানী নতুন দিল্লির স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়, বেসরকারি যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রীয় নজরদারি সংস্থা সফরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় বায়ুর মানের সূচক ছিল ৪০০-র বেশি। এই সূচকে সর্বোচ্চ মান হল ৫০০। এই সংখ্যা যত বেশি হবে, পরিস্থিতি ততটাই খারাপ। এই সূচক বাতাসে বহমান পিএম ২.৫ ধূলিকণার পরিমাপ নির্ণয় করে। এই কণা ফুসফুসের মারাত্বক ক্ষতি করে। এর ফলে, ক্যান্সার, হৃদরোগ হয়।

কেন শীতকালে বায়ুর মান কমে?

অক্টোবরের শেষ থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করার দরুন আর্দ্রতা বাড়ে ও হাওয়ার গতি কমে, দূষিত কণা পরিবেশে জমা হয় দীর্ঘ সময়ের জন্য। 

সেপ্টেম্বর মাসে বর্ষা শেষ হলে বায়ুর গতি পরিবর্তন হয়। এর সঙ্গে ধুলো, কারখানার ধোঁয়া, গাড়ির ধোঁয়া এই দূষণকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া, বিভিন্ন বেআইনি কারখানার বিরুদ্ধে সেভাবে বন্দোবস্ত করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। 

মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতায় যত গাড়ি আছে সব মিলিয়ে, তার থেকে বেশী সংখ্যক গাড়ি আছে নতুন দিল্লীতে। আবর্জনা পোড়ানোর পাশাপাশি রাস্তায় বসবাসকারীরা শীতের রাতে শরীর গরম রাখতে আগুন জ্বালায়। এসবেও বাড়ে দূষণ। এছাড়া সবুজ ধ্বংস করে নগরায়নের ফল তো আছেই।

এছাড়া আরাবল্লী পর্বত যা থর মরুভূমির থেকে দিল্লীতে ধুলো আসতে বাধা দিত, সেটাও ভাঙা হচ্ছে নির্মাণক্ষেত্রে বালি ও পাথরের যোগানের জন্য। গত কয়েক বছর ধরে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ফসলের নাড়া পোড়ানোর ফলে নতুন দিল্লীর সীমান্ত অঞ্চলে এই দূষণ আরও বেড়েছে।

২০১৭ সালে সরকার দু’বছরের জন্য কৃষকদের ১৭.৭৬ কোটি ডলার দিয়েছিল বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে, যাতে তাদের এই শস্য না পোড়াতে হয়। চলতি বছরে এই একই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৪.৬ কোটি ডলার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen