ভগবানের সোনাবেশ দেখতে রেকর্ড ভিড় দীঘায়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:২০: নিয়ম মেনে মাসির বাড়ি থেকে ফিরে তিনদিন দীঘার মন্দিরের বাইরে রথে কাটবে জগন্নাথদেবের। রবিবার বিকেলে সেই রথেই সোনাবেশে দর্শন দিলেন প্রভু। ভগবানের সোনাবেশ দেখতে রেকর্ড ভিড় হল দীঘায়। রবিবার তিন লক্ষের বেশি ভক্ত দীঘা জগন্নাথ মন্দির দর্শন করেছেন বলে মন্দির পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য রাধারমণ দাস জানিয়েছেন। এদিন সকাল থেকে মন্দিরের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। বিকেলের পর মন্দিরে ঢোকার লাইন ৫০০মিটার দূরে পর্যন্ত চলে যায়। দীঘা স্টেশন পর্যন্ত ভক্তদের লাইন চলে যায়।
গত ২৭জুন রথে চড়ে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মাসির বাড়িতে গিয়েছিলেন। টানা আটদিন মাসির বাড়িতে দু’বার করে পোশাক বদল করা হয়েছে। পাঁচবার ভোগ দেওয়া হয়। মাসির বাড়িতে তিন ভাইবোন আনন্দ করে শনিবার রথে চড়ে ফের মন্দিরে ফিরে এসেছেন। কিন্তু, জগন্নাথ প্রভুর উপর একরাশ অভিমান নিয়ে গেট আগলে দাঁড়িয়ে লক্ষ্মীদেবী। কথিত আছে, তাঁকে শ্রীমন্দিরে একা রেখে মাসির বাড়িতে আনন্দ করায় এই ‘শাস্তি’। তাই দাদা ও বোনের সঙ্গে মাসির বাড়ি থেকে ফিরে এলেও তিনদিন রথের উপর বসে থাকতে হবে।
যেকারণে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের সামনে পর পর তিনটি রথ রাখা হয়েছে। উপরে শামিয়ানা খাটানো হয়েছে। সেই রথে আরোহন অবস্থায় রবিবার একাদশী তিথিতে সোনার বেশে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে সাজিয়ে পুজো করা হয়। ৮জুলাই নীলাদ্রি বিজয় উৎসবের মধ্যেস দিয়ে তাঁরা গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন। পুরানের সেই গল্পকাহিনী বাস্তবের মাটিতে চাক্ষুষ করতেই বিকালের পর মন্দিরে ভক্তদের জোয়ার নামে। বিকেল ৫টা থেকে সোনাবেশে পুজো শুরু হয়। মন্দির ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্ত।
রবিবার একাদশী তিথিতে বিকেল ৫টায় পালিত হল সোনাবেশ। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে সোনার গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয়। দ্বাদশীর সন্ধ্যায় পালিত হবে অধরপনা। রীতিমেনে, জগন্নাথদেবকে শরবত খাওয়ানো হবে। তারপরেই তৃতীয়ায় হবে রসগোল্লা উৎসব। এদিন জগন্নাথদেবকে রসগোল্লা নিবেদন করা হবে।