কার্তিক পুজোয় বাঁশবেড়িয়া ও চুঁচুড়ায় রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা, প্রস্তুত প্রশাসন

মহাসমারোহে বাঁশবেড়িয়া ও চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায় কার্তিক পুজো হয়।

November 17, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: ২০১৮ বাঁশবেড়িয়া কার্তিক পুজোর মন্ডপ

মহাসমারোহে বাঁশবেড়িয়া ও চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায় কার্তিক পুজো হয়। পুজো দেখতে প্রচুর মানুষের ঢল নামে। এবার করোনার গেরো নেই, ফলে এবার রেকর্ড সংখ্যক ভিড়ের আশঙ্কা করছে পুজো উদ্যোগক্তারা। গতকাল বুধবার বাঁশবেড়িয়ায় পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশিত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাস্তা ও জলপথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আকাশে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। কার্তিক পুজোর কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেড়শোরও বেশি নাথিভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও এমন অনেক পুজো রয়েছে, যেগুলো নাথিভুক্ত নয়। মনে করা হচ্ছে, ১৭ থেকে ২০ নভেম্বর বাঁশবেড়িয়ায় মানুষের ঢেউ আছড়ে পড়বে।

ছবি সৌজন্যে: নিরুপম ভৌমিক

বাঁশবেড়িয়া পুরসভা ও চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন। এবার পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবের শেষ দিনে, অর্থাৎ ২০ তারিখ বিশেষ শোভাযাত্রারও আয়োজন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৪২টি পুজো কমিটি নয়নাভিরাম শোভাযাত্রায় অংশ নেবে।​​ বাড়তি ভিড় সামাল দিতে, তারা উদ্যোগ নিচ্ছেন।

ছবি সৌজন্যে: Pujo Parbon

প্রায় সাড়ে তিনশো বছর পেরিয়েছে বাঁশবেড়িয়া ও চুঁচুড়ার কার্তিক পুজোর বয়স। আলো ও বাহারি মণ্ডপ সজ্জায় সেজে উঠেছে বাঁশবেড়িয়া ও চুঁচুড়া। জলপথে ফেরিতে, স্থলপথে রেল ও সড়ক পথে গাড়ির মাধ্যমে মানুষজন বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ঠাকুর দেখতে আসবেন। প্রশাসনের তরফে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হয়েছে। এক হাজারেরও বেশি পুলিশ আধিকারিক নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবেন। সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ১২টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থাকছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen