জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের কাজ, দায়িত্বে পূর্ত দপ্তর
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০৩: লিওনেল মেসির কলকাতা সফর যে স্মৃতিতে ফুটবলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ছিল, তা শেষ পর্যন্ত পরিণত হয়েছিল বিশাল বিশৃঙ্খলায়। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রিয় তারকাকে কাছ থেকে দেখতে না পেয়ে উত্তেজিত দর্শকদের একাংশ নিয়ন্ত্রণ হারান। মাঠে নেমে পড়ে ভাঙচুর চালানো হয় গ্যালারির সিট, প্লেয়ারদের টানেল ও ক্যানোপিতে। সেই ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পেরোলেও অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত যুবভারতীর সংস্কারের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার।
মেসির সফর ঘিরে তৈরি হওয়া অরাজকতার তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রশাসনিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিচারপতি রায়, মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও ক্রীড়া সচিব রাজেশ সিনহা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন পরিদর্শন করেন।
স্টেডিয়ামের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয় পূর্ত দপ্তরকে। সূত্রের খবর, সেই দপ্তরের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই নবান্নে জমা পড়েছে। রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সংস্কারের কাজে দ্রুত হাত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই মেরামতির কাজ শুরু হতে পারে। যেহেতু তদন্ত প্রক্রিয়া চলছিল, তাই তার আগে সংস্কারের ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে এখানেই উঠছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—এই সংস্কারের খরচ কে বহন করবেন? মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত বর্তমানে জেল হেফাজতে। তাঁর বিরুদ্ধে টিকিট বিক্রি ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে প্রায় ২৩ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের কথা আদালতে জানিয়েছে সরকারি পক্ষ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। এই অবস্থায় সংস্কারের অর্থ আদায় আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে যুবভারতীর মেরামতি শুরু হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে থাকলেও, অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েই গেল—যার উত্তর দেবে সময়ই।