বাঁশ, সুপারি গাছই ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর, চাঞ্চল্যকর তথ্য ডেঙ্গু রিভিউ রিপোর্টে

মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গু।

October 16, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গু। পতঙ্গবিদরা বলছেন, বাঁশ, সুপারি গাছে লুকিয়ে রয়েছে ডেঙ্গুর বিপদ। স্বাস্থ্যভবনের ৫-১২ অক্টোবর তারিখের ডেঙ্গু রিভিউয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রোগ ছড়িয়ে পড়ার বেশ কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হল বাঁশ গাছের খুঁটি, সুপারি গাছের কাণ্ড এবং পত্রকক্ষে জমা জল। পরিষ্কার জমা জলেই ডেঙ্গু বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা বংশবৃদ্ধি করছে। 

এখনও অধিকাংশ জায়গাতেই বাঁশের খুঁটির বহুল ব্যবহারের চল রয়েছে। উৎসবের মরশুমে বহু জায়গায়ই বাঁশ দিয়ে প্যাণ্ডেল তৈরি হয়। উত্তরবঙ্গ ও পাহাড় এলাকার বহু জায়গায় বাঁশের বেড়া দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। পতঙ্গবিদরা, জলপাইগুড়ির চালোনি ও মাতিয়ালিহাট গ্রাম পঞ্চায়েত ও শিলিগুড়ি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। এলাকা পরিদর্শনের পর তারা বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। ওই এলাকাগুলিতে ২৭ জুলাই এবং ১২ সেপ্টেম্বর পরিদর্শনে সেরে তারা রিপোর্ট দিয়েছেন। পতঙ্গবিদরা বলছেন, ওই সব এলাকায় বাড়ির চারপাশে বাঁশের বেড়া দেওয়া রয়েছে। বেড়ার বাঁশের খুটির অগ্রভাগে গর্ত থাকে। সেখানে জল জমে। সেই জমা জলে ডেঙ্গুবাহক এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভার হদিশ মিলেছে। ১৩ ও ২৯ সেপ্টেম্বরের পরিদর্শনে শিলিগুড়ি পুরসভার মিলন পল্লি হাউজিং কমপ্লেক্সের বাঁশের বেড়ায় জমা জলে মশার লার্ভা মিলেছে। 

বাঁশ বা সুপারি গাছ নয়, কচু এবং কলাগাছও ডেঙ্গু মশার লার্ভার অন্যতম ডেরা, এমনটাই জানাচ্ছেন পতঙ্গবিদরা। গাছের পত্রকক্ষ এবং বিভিন্ন খাঁজে জমে থাকা বৃষ্টির জলে মশার লার্ভা বংশ বিস্তার করে। এই উপায়ের সমাধানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁশের খুঁটির গর্ত অংশে মাটি বা কাদা দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হলে এই সমস্যা হবে না। পুজো কমিটিগুলিকে সেকথা জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবার মণ্ডপগুলিতেও যাবেন স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen