বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে জিন্দলদের দু’টি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির কথা ঘোষণার পর ফের আশায় বুক বাঁধছেন শালবনীর বাসিন্দারা
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে জিন্দলদের ঘোষণার পর ফের আশায় বুক বাঁধছেন শালবনীর বাসিন্দারা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে জিন্দলদের ঘোষণার পর ফের আশায় বুক বাঁধছেন শালবনীর বাসিন্দারা। বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে শালবনিতে ৮০০ মেগাওয়াটের দু’টি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির ঘোষণা করেছে জিন্দল গোষ্ঠী। ওই গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দল জানিয়েছেন, ওই প্রকল্পের জন্য ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। জিন্দলদের নতুন ঘোষণায় আশা ফিরেছে জমিদাতাদের মনেও। তবে এ বার তাঁরা খানিক সতর্কই। তাঁদের বক্তব্য, শীঘ্রই কাজ শুরু হোক।
উল্লেখ্য প্রায় দেড় দশক আগে অর্থাৎ বাম আমলে শালবনীতে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ একর জমি দেওয়া হয়েছিল জিন্দল গোষ্ঠীকে। বড় ইস্পাত কারখানা গড়ার জন্য নেওয়া হয়েছিল ওই জমি। ২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রস্তাবিত সেই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফেরার পথে ল্যান্ডমাইন হামলার মুখে পড়ে তাঁর কনভয়। এরপর মাওবাদী-পর্বের সূত্রপাত।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সময় ইস্পাত কারখানা তৈরির পরিকল্পনা বাতিল করে জিন্দলরা। পরিবর্তে সিমেন্ট কারখানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে সেই কারখানার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জমির অনেকটাই এখনও পড়ে রয়েছে। জিন্দলদের দেওয়া জমির প্রায় ৮০ শতাংশই ‘অব্যবহৃত’ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
গত ২০১৪ সালে ওই প্রকল্পের মধ্যে ৪৫৪ একর জমিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনাও হয়। জনশুনানিও করা হয়। কিন্তু সেই কাজও আর এগোয়নি। এখন ফের সজ্জন জিন্দাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। যা শুনে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন।