প্রয়াত প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ লালা
তাঁর পরিবার প্লাজমার আবেদন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানায়। কিন্তু সেই চিকিৎসার আগেই তিনি মারা গেলেন।

করোনামুক্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত আর বাড়ি ফেরা হল না অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অমিতাভ লালার (Amitava Lala)। সোমবার গভীর রাতে বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
রাতে তাঁর প্রয়াণের খবর জানান, তাঁর পারিবারিক বন্ধু তথা আইনজীবী জয়গীপ মুখোপাধ্যায়। করোনামুক্ত হয়েও তাঁর ইনফেকশন ধরা পড়ে। শরীরে প্লাজমার ঘাটতি হয়। তাঁর পরিবার প্লাজমার আবেদন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানায়। কিন্তু সেই চিকিৎসার আগেই তিনি মারা গেলেন।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরুর পরে সেখানেই বিচারপতি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে বদলি হন। সেখানে বেশ কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজ করেন।
বিচারপতি হিসেবে এ রাজ্যে থাকাকালীন তিনিই প্রথম রাস্তা আটকে মিছিল-মিটিং করার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেটা ২০০৪ সাল। একিন হাইকোর্টে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি প্রবল যানজটে আটকায়। শুনানির সময় এগিয়ে আসতে থাকে। তিনি জানতে পারেন, সিপিএম-এর বিরাট মিছিল চলছে। আদালতে পৌঁছে তিনি বলেছিলেন, কলকাতা শহরে কাজের দিনে অফিস টাইমে রাস্তা আটকে মিছিল বন্ধ করা উচিত। এই নিয়ে তৎকালীন সিপিএম নেতাদের রোষের মুখে পড়তে হয় বিচারপতি লালাকে। ২০০৪ সালে তাঁকে লক্ষ্য করেই বাংলা ছেড়ে পালা স্লোগান তুলেছিলেন বিমান বসু। এখনও বিভিন্ন সময়ে রাস্তা আটকে মিছিল-মিটিং নিয়ে মামলায় তাঁর সেই রায়ের প্রসঙ্গ উঠে আসে।