আরজি কর কাণ্ড: বীর্য মেলেনি, লালা এক জনেরই, এমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের রিপোর্ট

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর প্রথম থেকেই অনেকে দাবি করছিলেন, একার পক্ষে এইভাবে ধর্ষণ–খুন করা সম্ভব নয়।

December 27, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর প্রথম থেকেই অনেকে দাবি করছিলেন, একার পক্ষে এইভাবে ধর্ষণ–খুন করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই দাবি খারিজ করল দিল্লির বিশেষজ্ঞ দল। এই দলের দাবি, একজনের পক্ষেও এই কাণ্ড ঘটানো সম্ভব। এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সিবিআইকে দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের এই দল।

দিল্লি এমসের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ আদর্শ কুমারের নেতৃত্বাধীন ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ‘মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড’ (এমআইএমবি) আরজি করে নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি, সুরতহালের রিপোর্ট এবং এই সংক্রান্ত অন্য প্রয়োজনীয় রিপোর্টগুলি খতিয়ে দেখেছে। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এমআইএমবি-কে নির্যাতিতা এবং আরজি করের ঘটনা সম্পর্কে মোট ৯টি প্রশ্ন করেছিল। অন্তর্বর্তিকালীন রিপোর্টে ওই প্রশ্নগুলি ধরে ধরে তার উত্তর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। রিপোর্টটি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার আগে এমআইএমবি-র সদস্যেরা মোট চার বার বৈঠক করেন।

প্রসঙ্গত, ওই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে কলকাতা পুলিশ অভিযুক্ত হিসেবে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিচার হচ্ছে নিম্ন আদালতে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁরা দু’জনেই ওই মামলায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তবে আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিন পাননি সন্দীপ। তিনি এখনও হেফাজতেই রয়েছেন।

রিপোর্টে বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীর শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সেই সব জায়গা থেকে যে লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা মিলে গিয়েছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের লালার সঙ্গে। এ ছাড়া, নির্যাতিতার যোনিতে বীর্য মেলেনি। কিন্তু সেখানে বলপ্রয়োগে প্রবেশের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen