কর্মবিরতির জেরে ইমার্জেন্সি চিকিৎসকহীন, জীবন-মৃত্যুর কিনারে অসহায় রোগীরা

৩৮ বছরের হাবিবুর মহেশতলা থানা অঞ্চলের বগা এলাকার বাসিন্দা। তিনি দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

September 9, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মহেশতলা থানা এলাকার আকড়ার বাসিন্দা জালালউদ্দিন মোল্লা, তাঁর ভাইয়ের অবস্থা খারাপ। কিন্তু ইমার্জেন্সি থেকে বলা হল, বড় কোনও ডাক্তারই নেই। পাড়ার চিকিৎসক বলে দিয়েছেন, “পিজিতে নিয়ে যান। ওঁর স্ট্রোক হয়েছে।” ইমার্জেন্সিতে বলা হল, “বড় কোনও ডাক্তার নেই কিন্তু।” রবিবার দুপুরে পিজিতে ভাইকে নিয়ে হাজির হন জালালউদ্দিন। ভাইয়ের নাম, হাবিবুর রহমান মোল্লা। ৩৮ বছরের হাবিবুর মহেশতলা থানা অঞ্চলের বগা এলাকার বাসিন্দা। তিনি দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আচমকা তাঁর দেহ কাঁপতে শুরু করে। মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরতে থাকে। পিজিতে নিয়ে আসা হয়। রোগীর পরিবারের দাবি, “ইমার্জেন্সিতে কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছেন। আর রয়েছেন নার্সরা। কিন্তু বললেন, বড় ডাক্তার নেই। ভাইয়ের যা অবস্থা বড় ডাক্তার না দেখলে কি হবে বুঝতে পারছি না। তাও ভাগ্য ভালো ভর্তি নিল। কিন্তু জানি না কি হবে?”

কিছুক্ষণ আগেই জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার বাসিন্দা রাজীব দে কিডনির সমস্যা নিয়ে পিজির নেফ্রোলজি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। পাঁচ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, লাগাতার কর্মবিরতিতে রাজীবের সঠিক চিকিৎসা হয়নি। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে। আতঙ্কে পড়ে যান জালালউদ্দিন।

জুনিয়র চিকিৎসকদের লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। যার ফলে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগী এবং রোগীর পরিবার। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগও উঠছে। চিকিৎসার আশায় শহরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীকে নিয়ে আসে পরিবার। হাসপাতাল চত্বরে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে চিকিৎসা মিলছে না, জীবন-মৃত্যুর কিনারে রোগীরা চিকিৎসার আশায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen