Ahmedabad Plane Crash : কয়েক মুহূর্তেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল রিকশা চালকের মেয়ের

বিমান টেকঅফ করার পর মাত্র ২৯ সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ল স্বপ্নের উড়ান। আর কয়েক মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল রিকশা চালকের মেয়ের

June 14, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, সকাল ১০.৫৭: বাবা রিকশা চালিয়ে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছিলেন। আর বাবার সেই কঠোর পরিশ্রমের মূল্যও দেন মেয়ে। লন্ডনে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পান। সেইমতো জীবনে প্রথমবার বিমানে চড়ে নিজের স্বপ্নের চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।

সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পেরিয়ে স্বপ্নকে সত্যি করতে প্রথমবার বিমানে চেপেছিলেন পায়েল খটিক। ৯ ঘণ্টার সফর শেষে সেই স্বপ্নপূরণের দেশে পৌঁছেও যেতেন তিনি। কিন্তু বিমান টেকঅফ করার পর মাত্র ২৯ সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ল স্বপ্নের উড়ান। আর কয়েক মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল রিকশা চালকের মেয়ের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার (এআই-১৭১) বিমানে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ওঠেন গুজরাটের হিম্মতনগরের পায়েল খটিক। কিন্তু টেক-অফের কিছুক্ষণ পরেই আহমেদাবাদ বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকায় ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। যাত্রী, পাইলট, বিমানকর্মী-সহ ড্রিমলাইনারে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। ভাগ্যের পরিহাসে মৃত্যু হয়েছে পায়েলেরও।

খটিক পরিবারের আসল বাড়ি রাজস্থানে। তবে কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা গুজরাটের হিম্মতনগরে বাস করতে শুরু করেন। জানা গিয়েছে, পায়েলের বাবা সুরেশভাই খটিক রিকশা চালিয়ে মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। এদিকে পড়াশওনার পর একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন পায়েল। সেই কোম্পানি থেকেই পড়াশোনার জন্য তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হচ্ছিল। নিজের স্বপ্নকে প্রথমবারের মতো বিমানে চেপেছিলেন রিকশা চালকের মেয়ে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে প্রথমবারের বিমানযাত্রায় তাঁর শেষবারের বিমানযাত্রা হয়ে গেল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen