পুলিসের গুলিতে খতম বিকাশের ডান হাত

গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে এখনও হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিস

July 9, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে এখনও হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিস। মঙ্গলবার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও বিকাশকে ধরতে পারেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এসটিএফ। এরপরেই এদিন বিকাশ সম্পর্কে সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কারমূল্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হল। এরইমধ্যে বুধবার উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে পুলিসের গুলিতে খতম হয়েছে বিকাশের ডান হাত অমর দুবে। গত সপ্তাহে চৌবেপুরে আট পুলিসকে হত্যার ঘটনায় অমরও যুক্ত ছিল। বিকাশের দেহরক্ষীর কাজ করত সে। আট পুলিসকে খুনের পরিকল্পনা মূলত তারই ছিল বলে জানা গিয়েছে। হামিরপুরের পাশাপাশি চৌবেপুরেও এদিন বিকাশের খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিস। সেই অভিযানে বিকাশের আরও এক সহযোগী শামু বাজপেয়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নামে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার ছিল। এনকাউন্টারে তার পায়ে গুলি লেগেছে। গত সপ্তাহে কানপুরের ওই শুটআউটে বিকাশের সঙ্গে শামুও ছিল। বিকাশ দুবেকে খবর দেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল পুলিসকর্মী বিনয় তিওয়ারিকে। বুধবার বিনয় সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Image
অমর দুবে চিত্র সৌজন্যেঃ পিটিআই

মঙ্গলবারই দিল্লির কাছে ফরিদাবাদের এক হোটেলে বিকাশকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু পুলিস হোটেলে পৌঁছনোর আগেই সেখান থেকে সে পালায়। পুলিসেরই কেউ তাকে সতর্ক করে দিয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিকাশের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই চৌবেপুর থানার ৬৮ অফিসারকে সরানো হয়েছে। বিকাশের খোঁজে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশেও ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চলছে। এদিন শাহদোল জেলা থেকে তার শ্যালক রাজু নিগমকে আটক করে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এসটিএফ। এর আগে গত সোমবার রাজুর ছেলে আদর্শকে আটক করা হয়েছিল। ফরিদাবাদের যে হোটেলে বিকাশ ঘরের খোঁজে এসেছিল, তার ম্যানেজার রোমি জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দু’জন ওই হোটেলে আসে। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয়পত্র ছিল। তবে তাতে ছবি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না। তাই সেই পরিচয়পত্র কাজে লাগবে না বলে জানানোয় তারা বেরিয়ে যায়। রোমি এও জানান, বিকাশের খোঁজে পুলিস বিকেল সাড় চারটে নাগাদ হোটেলে পৌঁছয়। কিন্তু ততক্ষণে সে সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। হোটেলের রেজিস্টার, সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিস। ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, বিকাশ মাস্ক পরে হোটেল থেকে বেরিয়ে একটি অটোয় উঠে গেল।

মঙ্গলবার ফরিদাবাদের হোটেল চত্বর থেকে অঙ্কুর, তার বাবা শ্রবণ এবং প্রভাত নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, বিকাশকে গা-ঢাকা দিতে সাহায্য করেছিল অঙ্কুর ও শ্রবণ। অন্যদিকে প্রভাত দুবেরই গ্রামের বাসিন্দা। তাদের তিনজনের কাছ থেকে ৪৪টি তাজা কার্তুজ এবং চারটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই চার পিস্তলের মধ্যে দু’টি উত্তরপ্রদেশ পুলিসের লুট হওয়া পিস্তল বলে জানা গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen