এসআইআর-র নামে ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না: অমর্ত্য সেন

দেশের একাধিক রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের উপর হেনস্থার অভিযোগ এসেই চলেছে।

August 23, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:২২: দেশের একাধিক রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের উপর হেনস্থার অভিযোগ এসেই চলেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। জাতীয় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (SIR) নিয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

শুক্রবার সল্টলেকের আই বি ব্লকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের নামাঙ্কিত গবেষণা কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অর্মত্য সেন বলেন, “এসআইআর-র নামে ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে কোনও আলোচনা চলতে পারে না। তবে এটা মানতে হবে, দেশে বহু নাগরিকের ডকুমেন্ট নেই। তাই বলে তাঁদের ভোটার হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।” অর্থনীতিবিদের মতে, “কিছুটা ভালো করার অজুহাতে বড় রকম ক্ষতি করা উচিত নয়।”

অমর্ত্যকে প্রশ্ন করা হয়, ‘সার’ নিয়ে বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলছেন নির্বাচন কমিশনকে। বিরোধীদের আপত্তির বিষয়ে আপনার মতামত কী? কমিশনের নাম না নিয়ে অমর্ত্যর বক্তব্য, নানা সময়ে বহু প্রক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া যদি অন্য মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে, তা হলে তাঁর সমর্থন থাকবে না। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে বিহারে ‘সার’ নিয়ে দিল্লি–সহ দেশজুড়ে প্রতিবাদে নেমেছেন বিরোধীরা। ‘সার’ প্রক্রিয়ায় বিহারে ৬৫ লক্ষ সাধারণ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে খসড়া তালিকায়। যা নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। কেন এত লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সর্বোচ্চ আদালতও।

কমিশন অবশ্য বার বারই দাবি করেছে, ভুয়ো ভোটার, মৃত ভোটার, ভিনদেশি ভোটার চিহ্নিত করতেই এই ব্যবস্থা। অমর্ত্যর কথায়, ‘গরিবের অধিকারে হাত দিয়ে কোনও সুব্যবস্থা করা যায় না। সত্যতা বিচার করা দরকার। মাথায় রাখবেন, আমাদের দেশে বহু মানুষের কাছে যথাযথ ডকুমেন্ট নেই।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen