মুর্শিদাবাদে একটি কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা কর্মী সংখ্যা নিয়ে BJP-র প্রতারণা তুলে ধরলেন ঋতব্রত
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক আজ সংসদে জানিয়েছে যে, তারা তারাপুর বিড়ি হাসপাতালে ৫ জন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করেছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার বিজেপির প্রতারণা ফাঁস করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তুলে ধরেন যে কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকার মুর্শিদাবাদে একটি কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা কর্মী সংখ্যা নিয়ে ভুয়ো তথ্য দিয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক আজ সংসদে জানিয়েছে যে, তারা তারাপুর বিড়ি হাসপাতালে ৫ জন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করেছে।
তবে, এই তথ্য ২৮ মার্চ উপস্থাপিত সংসদের শ্রম, বস্ত্র ও দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির রিপোর্টের সঙ্গে মিলছে না। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, অনুমোদিত ৬টি পদের মধ্যে মাত্র ৩ জন মেডিকেল অফিসারই নিযুক্ত আছেন।
সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশের অর্ধেকেরও বেশি বিড়ি শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন। তার মধ্যে এক-চতুর্থাংশই মুর্শিদাবাদ জেলায়। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ৬৫ শয্যার হাসপাতাল রয়েছে তারাপুরে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য। এই হাসপাতাল বেহাল অবস্থায় রয়েছে এবং সেই বিষয়টি স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপন করা হয়েছিল। আমি আজ একটি সাধারণ প্রশ্নের মাধ্যমে হাসপাতালের বিশদ তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। তবে আশ্চর্যের বিষয়, স্থায়ী কমিটির রিপোর্টের তথ্যের সঙ্গে আজ পাওয়া তথ্যের কোনও মিল নেই। আমরা জানিই না, কোনটা বিশ্বাস করব।’
তার আগের দিন সংসদে পিএফে ফাঁকি দিলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে দাবি জানান ঋতব্রত। তিনি বলেন অনেক সময়ই কর্মীদের পিএফ জমা দেয় না সংস্থাগুলি। বিশেষত বাংলার জুট মিল ও চা বাগানের মালিকদের ক্ষেত্রে এমন প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের শ্রম দপ্তরের তরফে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় পিএফ কমিশনার ইন চার্জকে চিঠি লিখে কর্মীদের ন্যায়ের জন্য দাবি জানানো হলেও তিনি প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছেন। পিএফে ফাঁকির ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে বলে দাবি জানান ঋতব্রত।