পার্থে ব্যর্থতার পর অ্যাডিলেডে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই, রোহিত- বিরাটের ভবিষ্যৎ কি ঝুলছে পাতলা সুতোর ওপর?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৫০: পার্থের মাটি থেকে ভারত ফিরেছে এক হতাশ জনক পরাজয় নিয়ে। শুভমন গিলের অধিনায়কত্বে নতুন সূচনা স্বপ্ন দেখেছিল টিম ইন্ডিয়া, কিন্তু বাস্তবের মাটিতে তা ধাক্কা খেল ভয়াবহভাবে। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে ব্যাট হাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ দুই তারকা—রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। রোহিত আউট হন মাত্র ৮ রানে, জশ হ্যাজলউডের এক তীব্র বাউন্সারে। অন্যদিকে, কোহলি শূন্য রানে পয়েন্টের হাতে এক অসাধারণ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন কুপার কনোলির হাতে। তাদের ব্যর্থতার সঙ্গে ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার, আর প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জাজনক হারে শুরু হয় সিরিজ।
তবে হাল ছাড়েননি ভারতের দুই অভিজ্ঞ নায়ক। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডে’র আগে নেটে নামলেন নতুন উদ্যমে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোহিত ও বিরাটকে দেখা গেল দীর্ঘক্ষণ অনুশীলনে ব্যস্ত থাকতে। ঘন্টাখানেক ধরে দু’জনেই খোলামাঠে ব্যাটিং প্র্যাকটিসে মন দেন। পিচের বাউন্স ও গতি বুঝে নিতে চাইলেন। দেখা গেল বিরাটকে বিশেষভাবে স্পিন ও শর্ট-পিচ ডেলিভারির বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস করতে। অন্যদিকে, রোহিতের লক্ষ্য ছিল নিজের টাইমিং ও শট সিলেকশন ঝালিয়ে নেওয়া।
এই দুই তারকার ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই নির্ভর করছে এই সিরিজের উপর। নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকার আগেই জানিয়েছিলেন, “প্রতি ম্যাচে পরীক্ষা নয়,” কিন্তু বোর্ডের ভিতরে এক জিনিস ঘুরপাক খাচ্ছে—২০২৭ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে দল নতুন করে গড়ে উঠছে। সেখানে বয়স ও ফিটনেস দুই-ই বড় ফ্যাক্টর।
রোহিত ও বিরাট নিজেরাও জানেন, তাদের সামনে সময় আর ততটা নেই। তাই অ্যাডিলেডের মাঠে ব্যাট হাতে নিজেদের প্রমাণ করতেই মরিয়া তারা। দলের নতুন যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে, হয়তো এই সিরিজই হতে পারে এক যুগের অবসানের শুরু।
ভারতীয় ক্রিকেটে রোহিত-বিরাট যুগ একদা ছিল সোনালি অধ্যায়। এখন সেই অধ্যায়ের পরবর্তী পৃষ্ঠা লিখবে অ্যাডিলেড—লড়াই শুধু রান তোলার নয়, লড়াই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার।