বিশ্বের সেরা মিষ্টির তালিকায় ২৪ নম্বরে উঠে এল রসগোল্লা, সন্দেশ তালিকার ৩৫ নম্বরে

বাংলার আদি ও নিজস্ব মিঠাইয়ের তালিকায় সবচেয়ে উজ্জ্বল এই মিষ্টান্নই। পরবর্তীকালে সেই রসগোল্লার একাধিক ‘তুতো’ ভাই এসেছে রসনা তৃপ্তিতে।

December 30, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইংরেজিতে যাকে চিজ বা কটেজ চিজ বলে, বাংলায় সেটাই ছানা। দুধ কাটিয়ে যে ছানা হয়, তার গোলাকে গরম চিনির রসে ফেলে তৈরি হয় রসগোল্লা। বাংলার আদি ও নিজস্ব মিঠাইয়ের তালিকায় সবচেয়ে উজ্জ্বল এই মিষ্টান্নই। পরবর্তীকালে সেই রসগোল্লার একাধিক ‘তুতো’ ভাই এসেছে রসনা তৃপ্তিতে। তাদের মধ্যে কমলাভোগ, রাজভোগ বা নতুন গুড়ের রসগোল্লা অন্যতম। রকমফের যা-ই হোক না কেন, রসগোল্লার কোনও বিকল্প নেই, মানেন খাদ্যরসিকরা। এবার সেই মিষ্টান্নই বিশ্বের সেরা মিষ্টির তালিকায় ২৪ নম্বরে উঠে এসেছে।

বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সেরা ২৫টি মিষ্টির তালিকায় উঠে এল রসগোল্লা। আর তার জন্য স্বীকৃত পেল কেসি দাশ। যদিও ওই প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি এবারই প্রথম নয়। এর আগে চিজ বা ছানার তৈরি সেরা মিষ্টির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল তাদের তৈরি রসমালাই। তাদের রসগোল্লার সঙ্গে এবার সেরা ৫০টি ‘লেজেন্ডারি’ মিষ্টির তালিকায় উঠে এসেছে কলকাতার আরও দু’টি মিষ্টি। একটি রামবল, অন্যটি সন্দেশ।

তালিকার শীর্ষস্থানে আছে লিসবনের ‘পাসটিস ডে বেলেম’ নামে একটি সংস্থার তৈরি ‘প্যাস্টেল ডে বেলেম’। ১৮৩৭ সাল থেকে এই খাবারটি তৈরি করে আসছে তারা। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইস্তানবুলের ঐতিহ্যবাহী হাতিজ মুস্তাফা নামে একটি সংস্থার ‘বাকলাভা’ নামে একটি খাবার। ১৮৬৪ সাল থেকে এই মিষ্টিটি জনপ্রিয়। ভারতের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি হিসেবে বিশ্বের সেরার তালিকায় প্রথমে জায়গা করে নিয়েছে মাওয়া কেক। ১৯৫৫ সাল থেকে ওই কেক প্রস্তুত করে আসছে পুনের কায়ানি বেকারি। বিশ্বের সেরার তালিকার ১৮ নম্বরে স্থান হয়েছে তাদের। তারপরই রয়েছে কে সি দাশের রসগোল্লা। ১৮৬৬ সাল থেকে তার পথ চলা শুরু। ২৫ তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ১৯২৭ সাল থেকে কলকাতার বুকে তৈরি হওয়া ফ্লুরিজের রামবল। মল্লিকদের তৈরি সন্দেশের জায়গা তালিকার ৩৫ নম্বরে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen