Kerala: কেরলে আরএসএস কর্মীর আত্মহত্যা, ‘মাটি মাফিয়া’ ও নির্যাতনের বিস্ফোরক অভিযোগে কোণঠাসা বিজেপি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১.৩০: তিরুবনন্তপুরমের ত্রিক্কান্নাপুরমে আরএসএস (RSS) কর্মী আনন্দ থাম্পির আত্মহত্যায় চাঞ্চল্য ছড়াল কেরলে। শনিবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহনন করেন মাত্র ৩২ বছর বয়সী এই যুবক। মৃত্যুর ঠিক আগে বন্ধুদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো চিঠিতে তিনি স্থানীয় বিজেপি (BJP) ও আরএসএস (Rashtriya Swayamsevak Sangh) নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন, যা ভোটের আগে বিজেপিকে ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে।
থাম্পি দাবি করেন, ত্রিক্কান্নাপুরম ওয়ার্ডে তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিজেপি টিকিট না দেওয়ায় তিনি স্বাধীন হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর পর থেকেই স্থানীয় বিজেপি-আরএসএস নেতারা তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা শুরু করেন এবং নানাভাবে হয়রানি করেন। চিঠিতে তিনি স্পষ্ট লেখেন, এই নির্যাতনই তাঁকে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুর পর দেহ যেন কোনও বিজেপি বা আরএসএস কর্মী না দেখে, এটাই তাঁর শেষ ইচ্ছা। নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে জীবনের “সবচেয়ে বড় ভুল” বলে বর্ণনা করে থাম্পি লেখেন, আরএসএস কর্মী হিসেবে কাটানো দিনগুলোই তাঁকে শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় বিজেপি প্রার্থী বিনোদকুমার, এলাকার সম্পাদক উদয়কুমার, মন্ডলের সদস্য কৃষ্ণকুমার ও নগর কার্যবাহক রাজেশ, এঁরা সবাই একটি ‘মাটি মাফিয়া’-র সঙ্গে যুক্ত। এহেন বিস্ফোরক দাবি বিজেপির চাপ আরও বাড়িয়েছে।
এই ঘটনাই প্রথম নয়। গত কয়েক মাসে আরএসএস-বিজেপি শিবিরে আত্মহত্যার অস্বস্তিকর ধারাবাহিকতা প্রকাশ্যে এসেছে। সেপ্টেম্বরে তিরুমালা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিলকুমার কে আত্মহত্যা করেন। তার কিছুদিন পর আরেক আরএসএস কর্মী আনন্তু আজিও নিজের প্রাণ দেন, রেখে যান একটি সামাজিক মাধ্যম পোস্ট যেখানে তিনি আরএসএস শিবিরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।
আনন্দ থাম্পির মৃত্যুর পর পুজাপ্পুরা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আত্মহত্যাপত্রে উল্লিখিত অভিযোগগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবশ্য সমস্ত আত্মহত্যার ঘটনা এবং মৃতদের তোলা একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি শিবির।