সংবিধান বদলাতে উদ্যত RSS-ধনকড়
সম্প্রতি RSS-র সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২৬: চব্বিশের লোকসভা ভোটে দাবি মতন চারশো আসন না জুটলেও সংবিধান বদলের চেষ্টা থেকে বিরত থাকছে না বিজেপি। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সরকার ১৯৭৬ সালে সংবিধান সংশোধন করে পৃথিবীর দীর্ঘতম লিখিত সংবিধানের প্রস্তাবনায় যোগ হয়েছিল সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ দুটি। এর ফলে ভারতবর্ষ সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র থেকে সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র-এ পরিণত হয়।
আরএসএসের পাশাপাশি শিবরাজ সিং চৌহান ও হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো বিজেপি নেতারা আগেই এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। এবার সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। তাঁর দাবি অনুযায়ী, “ভারতের সংবিধান ছাড়া অন্য কোনও সংবিধানের প্রস্তাবনা কখনও পরিবর্তন হয়নি। কারণ সংবিধানের প্রস্তাবনা অপরিবর্তনযোগ্য। অথচ তা পরিবর্তনের পাপ করা হয়েছিল এমার্জেন্সির সময়।”
বহু বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালির দুর্গা মন্ডপ ভাঙা, মন্দির বুলডোজ করা, বাংলা বললে বাংলাদেশী বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে যা আরেক অঘোষিত এমার্জেন্সির সমতুল্য। তাহলে সংবিধান পাল্টে ফেলাই কি সঙ্ঘের আসল লক্ষ্য? নাকি এমার্জেন্সির ইতিহাস টেনে এনে সংবিধান হত্যার পঞ্চাশ বছর পালন করার নামে ফের একবার সংবিধান হত্যার চক্রান্ত করছে বিজেপি?