BJP-র গড়েই আক্রান্ত গেরুয়া সাংসদ-বিধায়ক, উত্তরের পদ্মবাগানে নলখাগড়া কি গোষ্ঠী কোন্দল?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩৪: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু ক্রমেই কি উত্তরবঙ্গে বিজেপির মাটি আলগা হচ্ছে?সোমবার নাগরাকাটায় আক্রান্ত হয়েছেন দলের সাংসদ, বিধায়ক।
যতই তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলা হোক, এই হামলা নেপথ্যে দলের অন্তর্ঘাতকেই দায়ী করছেন বিজেপির একাংশ। উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
উত্তরবঙ্গ বিগত সাত-আট বছর যাবৎ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। অন্তত বিজেপি তেমনই দাবি করে। ভোটবাক্সের ফল বলে দাবিটা অমূলক নয়। বিজেপির হাফ ডজন সাংসদ ও বাইশ জন বিধায়ক রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে। খোদ দলের গড়ে সাংসদ-বিধায়ক আক্রান্ত হলেন, কিন্তু ন্যূনতম প্রতিরোধ হল না? ঘটনার সময় দলীয় কর্মীরা কোথায় ছিলেন? উত্তরবঙ্গে বিজেপির প্রভাব-প্রতিপত্তি কি ভ্যানিস হয়ে গেল?
তৃণমূলের কটাক্ষ, উত্তরের মাটিতে বিজেপির ভিতও নড়ে গেছে। বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরেই কি খগেন মুর্মুর ওপর হামলা হল? জল্পনা উস্কে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সঙ্গেই ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনিও বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে তাঁর উপরে কোনও হামলা হয়নি। তিনি অন্যত্র রওনা দিতেই শুরু হয় হামলা। একই দিনে রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি সাংসদ-বিধায়কের যাওয়া নিয়ে দলের অভ্যন্তরে সমন্বয় অভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
কোচবিহার লোকসভায় হার, মাদারিহাট উপনির্বাচনে হার একের পর ভোটে বিজেপির পরাজয় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, ২০২১ সালের পর থেকে উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন আগের তুলনায় দুর্বল পড়েছে কি? ২০২৬ সালের ভোটে বিজেপির সবচেয়ে বড় ভরসা উত্তরবঙ্গ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, উত্তরবঙ্গে বিজেপি ধাক্কা খেলে রাজ্যব্যাপী তার অভিঘাত পড়বে। ঝিমিয়ে পড়া সংগঠনকে চাঙ্গা করে উত্তরের মাটি ঘুরে দাঁড়ানোই এখন বিজেপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ!